জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার আহবান জানালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির স্বার্থসুরক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা যে কোন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে ভূক্তভোগী জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (২৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়নে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসিবি), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্ণালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন এনসিসিবি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মুহাম্মদ ফররুক রহমান। বিসিজেএফ’ সভাপতি কাওসার রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার নানান পরিকল্পনা হাতে নিলেও অনেক ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও শতভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তাই ভূক্তভোগী জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোকে আরো আন্তরিক হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ ও সুপেয় পানি সরবরাহে ইতোমধ্যে সরকারের নেওয়ার নেওয়া প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। সরকার প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)’কে দায়সারা কাজ বলে অবিহিত করে কাওসার রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কাউন্সিল গঠনের আহ্বান জানান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার আহবান জানান। সেই সাথে অগ্রাধিকার তালিকা খাত ভিত্তিক না করে অঞ্চল ভিত্তিক করে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি।”
নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসিবি), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্ণালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন এনসিসিবি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মুহাম্মদ ফররুক রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমেদ অটল, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন, এসসিসিবি’র সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর অভিযোজনের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিকখাতে ‘ভূমি ব্যবহার’কে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। বৈশ্বিক শংকা ও বিশেষজ্ঞ মতামতের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকায়ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং চাহিদা মাফিক অভিযোজন কৌশল ও কর্মকা- গ্রহণ করতে হবে। জীবন-জীবিকার বৈচিত্র্য এবং অঞ্চলনির্ভর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা এবং চাহিদার ওপর ভিত্তি করে অভিযোজন কৌশলগত কর্মকা- ও কার্যক্রম মূল্যায়ন ও গ্রহণে জোর দিতে হবে। জাতীয় অভিযোজন কার্যক্রমে গৃহীত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ রাখতে হবে।