রাশিয়ায় পুতিনের নতুন আইন
ইউক্রেনে চলমান অভিযানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন আইনে বলা হয়েছে- বিদেশে থাকা কোনো রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘ভুয়া খবর’ ছাপনোর জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
শনিবার বিবিসির লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মূলত রাশিয়ার দূতাবাস ও বিদেশে রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে গুজব কিংবা ভুল তথ্যের প্রচার ঠেকাতে এমন একটি আইনের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন রাশিয়ার আইনপ্রণেতারা। যার ধারাবাহিকতাতেই দেশটির গণমাধ্যমের ওপর এমন কড়াকড়ি ও শাস্তির বিধান রাখলেন পুতিন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা এবং রাশিয়ার ১৬ হাজার ১০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনের এক হাজার ৮০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সূত্র : বিবিসি