তালায় দেড়’ শ বছরের প্রাচীন কালী মন্দির অরক্ষিতঃ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
Post Views:
৪৭১
ফারুক সাগরঃ
দেড়শো বছরের প্রাচীন কালী মন্দির অবহেলিত,অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।মন্দিরটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙায় অবস্থিত। যা হিন্দু সম্প্রদায়ে দলিত শ্রেনীর ইতিহাস ঐতিহ্য লালন করে। প্রতিবছর পূজার দিনে প্রায় ৫-৭ শতাধিক ভক্তবৃন্দরা মিলিত হয় এখানে।
সরজমিনে দেখা যায়,প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের আমবস্যা তিথিতে এখানে কালিপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দেড়শতাধিক পরিবার আর্থিক সহয়তা দিয়ে এ পূজায় অংশ নেয়।মন্দির কমিটির সভাপতি সুদেপ তরফদার জানান, আমাদের পূর্বপরুষ স্বর্গীয় বিহারী তরফদার, বিরেশ্বর মন্ডল এবং হারান বারিক প্রায় দেড়শ বছর আগে কাশিয়াডাঙ্গা সার্বজনীন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকেই পূজা অর্চনা প্রচালিত হয়ে আসছে মন্দিরে। এর মধ্যেই সরাকারী কোন বরাদ্দ ছাড়াই গড়ে ওঠে মন্দিরের বেদী। বছর দশেক আগে আ”লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মন্দির সংষ্কারে জন্য ১ টন টি আর বরাদ্দ দেন তত্কালীন সংসদ। সেই বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে সংষ্কার হয় মন্দিরের বেদী। বর্তমানে অর্থাভাবে অরক্ষিত অবস্তায় পড়ে থাকার কারনে সেখানে রয়েছে পশু পাখির অবাদ বিচারন। বর্তমান সময়ে সেখানে বড় ধরনের সরকারী সাহয্য পেলে মন্দিরটি পূনঃ নির্মান করা সম্ভব হবে বলে দাবী জানান তিনি।
মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক বিধান মন্ডল জানান, আমি প্রায় ১ যুগ ধরে মন্দির কমিটির দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমরা নিজস্ব তহবিল ও গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছর আমাদের ধর্মীয়রীতি মেনে কালিপূজা পরিচালনা করে আসছি। বর্তমানে মন্দিরটিতে একটি ছাউনি ও লোহার গ্রিল নির্মান করা একান্ত জরুরী। আমরা বার বার সংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দারস্থ হয়েছে। কিন্ত বিনিময়ে পেয়েছি শুধু আশার বানী। একটু সরকারী অনুদান পেলে মন্দিরটি সংষ্কার করে পূন নির্মান করা সম্ভব হত বলে জানান তিনি ।
খলিষখালী পুজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব মুখার্জী চাঁদু জানান, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের মন্দিরটি অনেক পুরানো।প্রতিবছর তাদের এই পূজাতে শত শত ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে সেখানে। সরাকারী অনুদান পেলে অরক্ষিত মন্দিরটি আবার সংষ্কার করা সম্ভব হত।
এ বিষয়ে তালা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, মন্দিরের বিষয়টি শুনেছি তবে বর্তমানে কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পৌছে দেওয়া হবে।