সাতক্ষীরায় একাধিক মামলার আসামী কর্তৃক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শহর প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একাধিক মামলার
আসামী কর্তৃক মিথ্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল
মোতালেব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদরের
মাধবকাটি গ্রামের ওয়ারেছ আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমার কন্যার
ভাসুর ডাকাতি মামলার আসামী মিজানুর রহমানকে দিয়ে সদর থানায়
একটি এজাহার দায়ের করে। আমার তিন কন্যাদের বিয়ে হয়েছে সাতক্ষীরা
সদরের শাল্যে, বলাডাঙ্গা এবং নারায়নজোল গ্রামে। কিন্ত আমরা খোঁজ
নিয়ে জেনেছি এই মামলার বাদীর বাড়ি গোদাঘাটা গ্রামে। সুতরাং
বাদী আমার কন্যার ভাসুর নয়। পুলিশ ১৮ ডিসেম্বর২০২১ তারিখে শফিকুলকে
আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে।
তিনি আরো বলেন মাধবকাটির প্রতারক শফিকুল ইসলাম আটকের পর রাতে
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাসহ সঙ্গীয় ফোর্স শফিকুল
ইসলামকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তার বাড়ি থেকে
পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাপ, র‌্যাংক ব্যাচসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে
পুলিশ। এঘটনায় এলাকায় মিস্টি বিতরণসহ জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
প্রতারক শফিকুল ইসলামকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। সে পুলিশ পরিচয়ে
প্রতারণার মাধ্যমে এলাকার ত্রাস সৃষ্টিসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি
করতো। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানায়
শফিকুল ইসলাম একজন তালিকা ভূক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত। সাতক্ষীরার একটি
ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চায়
আদালতের কাছে। আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। শফিকুল বিভিন্ন
সময় ক্রাইম সংঘটিত করে ভারতে অবস্থান করত। আবার সেখানে কিছুদিন
থেকে বাংলাদেশে চলে আসতো। সে উভয় দেশে দ্বৈত বসবাস করে আসছিল।
তার বাড়ি অভিযান চালিয়ে পুলিশের পোশাক, এক জোড়া হ্যান্ডকাপ,
এএসআই পদমর্যাদার র‌্যাংক ব্যাচ, ২০ হাজার ৭শ টাকা, ওয়াকিটকি সহ
বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে। এ খবর সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন পত্র-
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গত ৮ মার্চ ২০২২ তারিখ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সদর উপজেলার মাধবকাটি গ্রামের মৃত
আশরাফ আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম। সেখানে আমার ও আমার পুত্র আবুল
বাশারকে জড়িয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা ও
উদ্দেশ্য প্রণোদিত। গত ১ অক্টোবর ২০০৯ সালের তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা
চাঁদাবাজির মামলা, আমার আত্নীয় স্বজনদের বাদী করে আদালতে একের পর
এক ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং ৩টি পেন্ডিং মামলায় তাকে জাড়িয়ে
দেয়ার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শফিকুল আমাকে সর্বশান্ত
এবং হয়রানি এবং মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক গভীর ষড়যন্ত্রে
লিপ্ত রয়েছে। সে আমার ও আমার পুত্র আবুল বাশারের বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এব্যাপারে তিনি প্রতারক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও
ডাকাত শফিকুল ইসলামের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও
পুলিশ সুপারের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)