ইউক্রেনকে জীবাণু গবেষণাগার ধ্বংসের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন পরীক্ষাগারে থাকা উচ্চ-হুমকির প্যাথোজেন বা রোগ সংক্রামক জীবাণু ধ্বংস করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মানুষের মধ্যে সেগুলো যেকোনো সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই সংস্থাটি এই পরামর্শ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
বায়োসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে রুশ সেনাদের চলাচল এবং বিভিন্ন শহরে গোলাবর্ষণের ফলে পরীক্ষাগারে থাকা এসব প্যাথোজেন ছড়িয়ে পড়ার হুমকি দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত সেগুলো ধ্বংস করা প্রয়োজন।
যুদ্ধের মধ্যে ওই রোগ সংক্রামক জীবাণুগুলো ছড়িয়ে পড়লে ইউক্রেনের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্যাথোজেনের মাধ্যমে কঠিন রোগব্যাধি ছড়াতে পারে। এতে করে রুশ আগ্রাসন ঠেকানো গেলেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ইউক্রেন।
অন্য দেশের মতো ইউক্রেনেও জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার জন্য অনেক পরীক্ষাগার রয়েছে। মানুষ ও প্রাণী উভয়কেই প্রভাবিত করে—এমন বিপজ্জনক রোগের হুমকি ঠেকাতে সেখানে কাজ করা হচ্ছিল। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস নিয়েও ওই পরীক্ষাগারে গবেষণা চলছিল। ল্যাবে এসব নিয়ে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন রয়েছে।
১৬ দিন ধরে ইউক্রেনে রুশ হামলা চলছে। এতে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এখনো বিভিন্ন শহরে গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়ার সেনারা।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পরীক্ষাগারগুলো সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জানতে চায় রয়টার্স। ইমেইলে দেওয়া এক উত্তরে সংস্থাটি জানায়, অনেক বছর ধরেই তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের পাবলিক হেলথ ল্যাবগুলো কাজ করছে। এই কাজের অংশ হিসেবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্য দায়িত্বশীল সংস্থাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, সম্ভাব্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উচ্চ-ঝুঁকির প্যাথোজেনগুলো ধ্বংস করতে হবে। এই কাজ খুব দ্রুত করার কথাও বলা হয়েছে।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কবে এই সুপারিশ করেছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দেশটির পরীক্ষাগারগুলোতে কী ধরনের প্যাথোজেন বা বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে, সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। সংস্থাটির ওই সুপারিশগুলো পাওয়ার পর ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে কি না, সেই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি। এ বিষয়ে কিয়েভ ও ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছিল রয়টার্স। তবে তারা সেই অনুরোধে সাড়া দেননি।
সূত্র: রয়টার্স