সাতক্ষীরার কলারোয়ায় র্যারের অভিযানে উদ্বার হওয়া অস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর ভিন্নমত প্রকাশ
কলারোয়া প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় র্যারের অভিযানে উদ্বার হওয়া অস্ত্র নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করলেন গ্রামবাসী। বুধবার বিকালে উপজেলার নাথপুর গ্রামবাসীরা বলেন-কামরুল হাসান (১৮) পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ী। সকাল থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ করে মাত্র ৪শ টাকা রোজগার করেন। সে পান ও বিড়ি খায় না। বিয়েও করেনি। এই গ্রামের মধ্যে সে একজন ভাল ছেলে বলে পরিচিতি পেয়েছে। তার পিতা আব্দুল খালেক বয়স (৭০)। পেশায় একজন চা বিক্রেতা। ঘটনার বিবরণে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলিউর রহমান ও চা বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানায়-রাজমিস্ত্রি মহিদ এর সাথে নিয়মিত কাজে যায় কামরুল হাসান। মঙ্গলবার ভাদিয়ালীর আরশাদ আলীর বাড়ীতে কাজ শেষে কামরুল হাসান বাড়ীতে আসে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজমিস্ত্রীর সহযোগি শামিম একটি মোবাইল ফোনের বক্স দিয়ে বলে এতে একটি ফোন আছে হুলহুলিয়া নাথপুর গামী ঈদগাহ বটতলা মোড়ে নিয়ে গেলে জোন হিসাবে ৪হাজার টাকা দেয়া হবে। সে তার কথা শুনে টাকার লোভে পড়ে ওই ফোনের বক্স নিয়ে চলে যায়। ঈদগাহ বটতলা মোড়ে পৌছানো মাত্রই র্যাব সদস্যরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। এসময় সে র্যাব সদস্যরা তার কাছ থেকে ওই ফোনের বক্স নিয়ে নেয়। খুলে দেখেন তার ভিতরে একটি লোহার পিস্তল। এসময় কামরুল হাসান র্যাব সদস্যদের বিষয়টি খুলে বলেন।
কিন্তু র্যাব সদস্যরা তার কোন কথা না শুনে ওই পিস্তল দিয়ে কলারোয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে। তারা কলারোয়া থানা হাজতে আটক থাকা কামরুল হাসানের সাথে কথা বলে এতথ্য জানতে পেরেছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে শামিম বাড়ী ছাড়া। এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে। নাথপুর গ্রামবাসীর মধ্যে আব্দুর রউফ, মাহবুবর রহমান, আব্দুর রশিদ, সন্তোষ, ওজিয়ার রহমান গাজী জানান-রাজমিস্ত্রী কামরুল হাসানের নামে গ্রামে কোন খারাপ অভিযোগ নেই। তার কাছ থেকে র্যাব সদস্যদের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি বিশ্বাস করতে পারছেন না।
নাথপুর গ্রামবাসী এই ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা বলেন-সাতক্ষীরা র্যাব-৬ এর ডিএডি নায়েক সুবেদার আঃ রহিম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা নং-১৪(৩)২২ করেছেন। মামলাটি থানার সাব-ইন্সপেক্টর এসআই মাহতাব উদ্দীন তদন্ত করছেন।