শ্যামনগর ঝুকিপূর্ণ বাক্সকলগুলো সচল নেই কোন প্রশাসনিক তৎপরতা
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগরঃ-
শ্যামনগর ঝুকিপূর্ণ বাক্সকলগুলো সচল, নেই কোন প্রশাসনিক তৎপরতা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে যত্রতত্র ছিদ্র করে পাইপ ও বাক্স কল বসিয়ে ঝাঁজরা করে বেড়িবাঁধকে দূর্বল করে দিয়েছে পানি ব্যবসায়ীরা। শ্যামনগরে ২০ টার অধিক বাক্স কল রয়েছে। সেখানে প্রায় অর্ধেকই বাক্সকল ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় পানি উত্তোলন কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
রিদর্শন করে দেখাগেছে যে, কিছু এলাকায় সিএমবির রাস্তা তৈরি হয়েছে কিন্তু তার নিচু দিয়ে বাক্স কল রয়েইগেছে। সেই স্থানগুলো রাস্তার চরম ক্ষতি হয়েছে। নবনির্মিত রাস্তা বসে গেছে। অন্যদিকে কিছু স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ দুপাশ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সরকার প্রতিনিয়ত এই বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য। একটি অনুসন্ধানে জানাগেছে যে, বাক্স কলগুলোর বার্ষিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকা। এই টাকা নিচু তলা থেকে উপর তলার সকল রুই কাতলরা পেয়ে থাকে। বাক্স কল অপসারণে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ থাকলেও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সমন্বয় করে তা সিথিল করে ফেলেছে।
অন্যদিকে উপকূলের ৯০% মানুষ ধান চাষে আগ্রহী হলেও বাকি ১০% অর্থশালীরা নারাজ লোনাপানি বন্ধ করতে। বর্তমান কিছু কৃষক মৎস্যঘেরীতে ইরি চাষ করতে সক্ষম হলেও পাশের লোনাপানির চাপে নষ্ট করে দিচ্ছে ইরি ধান। অনেকে মন্তব্য করছেন, মৎস্যঘেরীতে বছরের পর বছর লোকশান হচ্ছে কিন্তু লোনাপানি উত্তোলন বন্ধের অভাবে তারা ধান চাষ করতে পারছে না। আর বাক্সকলের মালিকরা লাভের আশায় বন্ধও করছে না।
এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছেন যে, বাক্স কল অপসারণ করলে লোনাপানি উঠা বন্ধ হবে । লোনাপানি বন্ধ হলে মৎস্যঘেরীগুলো বন্ধ হবে। উপকূলের মানুষ ফিরে পাবে মিষ্টি পানির আধার আর সেই সাথে খালগুলো উন্মুক্ত হয়ে যাবে। খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনে আর বাঁধা থাকবে না। ধান চাষে মানুষ লাভবান হবে এবং উপকূলের মানুষ সুন্দরবনের উপর নির্ভর কমিয়ে দিবে । এলাকার মানুষ কর্মশীল হয় উঠবে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দোষ চাপাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসনের উপর। তারা বলেন উপজেলা প্রশাসনের জন্য তাদের অপসরণ কাজ স্থাগিত রয়েছে।