অল্প রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় এবং শেষ টি-২০তেও টস জিতে আগে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। অল্প রানেই নিজেদের ইনিংস শেষ করেছে টাইগাররা।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও টস জিতে আফগানিস্তানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এতে নির্ধাতির ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় এড়াতে সফরকারী আফগানদের প্রয়োজন ১১৬ রান।

এ ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ দল। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, তাকে জায়গা ছেড়ে দিতে একাদশের বাইরে আগের ম্যাচে অভিষেক ক্যাপ পাওয়া ইয়াসির আলি রাব্বি।

ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন মুনিম শাহরিয়ার এবং নাঈম শেখ। কিন্তু ওপেনিং জুটি দীর্ঘ হয়নি। মোহাম্মদ নবির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন মুনিম। এক বল পরেই দলীয় ৭ রানে ক্যাচ দিয়ে বিদায় হন ১০ বলে ৪ রান করে। নাঈমের সঙ্গী হন লিটন দাস। তৃতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকীকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে দর্শনীয় পুল শটে ৬৯ মিটারের ছক্কা মেরে তিনি হাত খোলেন।

দারুণ ফর্মে থাকা লিটন আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আজমতউল্লাহর করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ভুল টাইমিংয়ে তিনি ধরা পড়েন শরাফউদ্দিন আশরাফের হাতে। শেষ হয় ১০ বলে ১ ছক্কায় ১৩ রানের ইনিংস। ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন সাকিব। রশিদ খানের করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে নাঈমের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।

তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান নাঈম। তবে এক ওভার পরেই সেই রশিদ খানের বলে দ্রুত রান নিতে গিয়ে করিম জানাতের সরাসরি থ্রোতে রান-আউট হয়ে শেষ হয় তার ১৯ বলে ২ চারে ১৩ রানের ইনিংস। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানও আজ ধুঁকছিলেন। আজমতুল্লাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার সংগ্রহ ১৫ বলে ৯ রান।

রশিদ খানের আগের ওভারে সুইপ করে জোড়া চার মারেন মাহমুদউল্লাহ। লেগ স্পিনার আক্রমণে ফেরার পর প্রথম বলেই আবার মারেন চার। তবে এরপর যেতে পারেননি বেশিদূর। চমৎকার এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে দেন রশিদ। রিভিউ না নিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ভাঙে ৩১ বলে গড়া ৪৩ রানের জুটি। ১৪ বলে তিন চারে ২১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

শেষ ঝড় তোলার জন‍্য মুশফিকুর রহিমের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নিজের শততম ম‍্যাচে বেশি দূর যেতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই কিপার-ব‍্যাটসম‍্যান। ফারুকিকে তুলে মারার চেষ্টায় ধরা পড়লেন কাভারে।

স্লোয়ার বল বুঝতে পারেননি মুশফিক। শট খেলে ফেলেন আগেভাগেই, সহজ ক‍্যাচ নেন মোহাম্মদ নবি। চারটি চারে ২৫ বলে মুশফিক করেন ৩০।

একই ওভারে শেখ মেহেদীকে ফেরান আজমতউল্লাহ। এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। আফিফও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বড় রানের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের।

শেষদিকে মুস্তাফিজুর রহমানের ৫ বলে ৬ এবং নাসুম আহমেদের ৯ বলে অপরাজিত ৯ বলে ৫ রানের কল্যাণে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১৫ রানে থামল বাংলাদেশের ইনিংস। এতে নির্ধাতির ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় এড়াতে সফরকারী আফগানদের প্রয়োজন ১১৬ রান। আফগানদের হয়ে ফারুকি আর আজমতউল্লাহ সমান ৩টি করে উইকেট নেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)