ইউক্রেনে আটকা পড়া মুনসুরুলসহ তার পরিবারের খোঁজখবর নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু
শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের যুগ্ন-সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু ইউক্রেনে আটকা পড়া সাতক্ষীরার সন্তান মুনসুরুল আমীন খাঁনের পরিবারের বাসায় যান। এসময় মুনসুরুলের পিতার সেলিম খানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলে মুনসুরুলের বিষয়ে খোজঁখবর নেন। এসময় মুনসুরুলের সন্তানদের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যান তিনি। এসময় আসাদুজ্জামান বাবু পরিবারটিকে মানষিকভাবে ভেঙ্গে না পড়ার অনুরোধ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে সকল বাংলাদেশীদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার অশেষ রহমতে মুনসুরুলসহ ইউক্রেনে আটকা পড়া সকল বাংলাদেশী নিরাপদে দেশে ফিরবেন।
প্রসঙ্গত: ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরে একটি বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজে ২৯ জন বাংলাদেশি আটকে পড়েছিল। আর সেই জাহাজে রাশিয়ার রকেট হামলায় বাংলাদেশী নাবিক ও জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। আর ওই জাহাজটিতেই মুনসুরুল আমীন খাঁন চীফ অফিসার (ক্যাপ্টেন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা এলাকার সেলিম খাঁনের ছেলে।
১৬ বছর আগে জাহাজের চীফ অফিসার (ক্যাপ্টেন) পদে চাকুরীতে যোগদান করেন মুনসুরুল আমীন খাঁন। সর্বশেষ তিন মাস আগে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। নিজ এলাকায় গিনি নামেই পরিচিত ছিলেন মুনসুরুল। মুনসুরুল আমীনের তিন ছেলে। ফাহিমি ও ফারহান (১০) যমজ ভাই। ছোট ছেলে ফারদিনের বয়স তিন বছর। যমজ দুই ছেলে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।