চমেকে মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, বন্ধ হচ্ছে সেই মর্গ
নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যে মর্গে মরদেহের সঙ্গে যৌনাচারের ঘটনা ঘটেছে। এবার সেটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।
জানা গেছে, নারী ও শিশুর মরদেহের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই মর্গের পাহারাদার মো. সেলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় ১৫ বছর ধরে সেলিম মর্গে মরদেহ আনা-নেয়া ও পাহারার কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তিনি বহিরাগত ও ধূর্ত।
গ্রেফতারকৃত সেলিম কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতেশ্বর এলাকার বাসিন্দা। চট্টগ্রামে তার বসবাস বহাদ্দার হাট এলাকায়।
এদিকে ২০১৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। এ মামলায় একাধিকবার কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। জেল থেকে বেরিয়ে ফের মর্গে দেখা যেত তাকে।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হন সেলিম। এর পর দুই বছর জেল খাটেন। তারপর জামিনে ছাড়া পান। প্রচুর নেশা করেন সেলিম। হাসপাতালের কোনো কর্মচারী না হয়েও তিনি কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে মর্গে কাজ করছেন তা নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, মর্গে এতো অনিয়মের বিষয়টি এতদিন আমাদের জানা ছিল না। আধুনিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে মরদেহ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই জরুরি বিভাগের পাশের পুরোনো অস্থায়ী সেই মর্গটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আগামীকালই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সিআইডির এসআই কৃষ্ণ কমল বণিক। তিনি বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি ৪৮ বছর বয়সী সেলিম তিন বিয়ে করলেও তাদের কারও সঙ্গেই তার যোগাযোগ নেই। চারিত্রিক কারণে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে থাকেন না। হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।