সাতক্ষীরায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে গণটিকার কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মোট জনসংখ্যার ৭০ভাগ জনগোষ্ঠীকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে একদিনে ১কোটি করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম। এই টিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশের মতো সাতক্ষীরায় ১ লাখেরও বেশি বিভিন্ন বয়সীদের করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের গণটিকা দেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে জেলার ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়নে একযোগে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। টিকা গ্রহণকারীদের দূর্ভোগ কমাতে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা প্রদান নিয়ে জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরসহ শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে মাইকিং করার কারণে শনিবার টিকাকেন্দ্রগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে এক দিনে দেশের ১কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলায় একদিনে ১লক্ষ ৭০হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রথম ডোজের গণটিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ স্বাস্থ্যবিভাগ আরও দুই দিন বাড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করেছেন। এছাড়াও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি, নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটিসহ জেলায় ২০টি ভ্রাম্যমাণ দল থাকছে। যাতে, যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে যেন তারা গিয়ে টিকা দিয়ে আসতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকে টিকাদানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন বা কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগবে না। বরং টিকা গ্রহণকারীরা তাদের মোবাইল নম্বর দিয়েই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এসময় গ্রহণকারীদের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে একটি কার্ড দেয়া হবে। সেটিই হবে তাদের টিকা নেয়ার প্রমাণ।