মেয়েলি কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছেন না ‘বাদাম কাকু’

‘কাঁচা বাদাম’ গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। পেশায় তিনি বাদাম বিক্রেতা। এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরগরম ‘বাদাম কাকুর’ গানের ভিডিওতে। কয়েকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তাকে। তিনি জানান, বাদাম বিক্রি ছেড়ে সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীত সাধনাতেই ডুবে যেতে চান তিনি।

এবার শিল্পী ভুবনের ব্যবসায়ীক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে গোধূলিবেলা মিউজিক কোম্পানি। এই গোধূলিবেলা মিউজিক কোম্পানিই প্রথম ভুবনের গানটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করে। বীরভূমের ইলামবাজারেরই সংস্থা সেটি।

বৃহস্পতিবার খাতায়-কলমে ভুবনের সঙ্গে কপিরাইট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা, যাতে ভুবনের ওই গান ব্যবহার করার আগে তাদের অনুমতি নিতে হবে প্রত্যেককে। তার বিনিময়ে পারিশ্রমিকও মিলবে।

এ দিন সেই উপলক্ষে ইলামবাজারে ছিলেন ভুবন। তিন লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। তার মধ্যে এ দিন দেড় লাখ টাকা পেয়েছেন। আগামী সপ্তাহে বকেয়া দেড় লাখ হাতে পাওয়ার কথা তার।

এক সাক্ষাৎকারে ভুবন বলেন, আমার গান নানা জায়গায় বাজছে। নাইজিরিয়াতেও বেজেছে। সবাই নাচছে আমার গানে। খুব ভালো লাগছে। বম্বে থেকে ডাক পাচ্ছি। দিল্লি এবং আসাম থেকেও ডাকছে।

বাংলাদেশেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’। বাংলাদেশেও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ভুবনের। কিন্তু বাদ সেধেছেন স্ত্রী। ভুবনের বাংলাদেশ যাওয়ায় নাকি তীব্র আপত্তি তার স্ত্রীর। তাই যতই তারকা হয়ে যান না কেন, স্ত্রীর চোখরাঙানি কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারছেন না ভুবন।

ভুবনের বক্তব্য, আমার তো বাংলাদেশ যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বউয়ের ভয়ে যেতে পারছি না।

গোধূলিবেলা মিউজিকের প্রধান গোপাল ঘোষ জানিয়েছেন, ভুবনের গান প্রকাশ করলেও, কপিরাইটের বিষয়টি সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল ছিলেন না তারা। তাই যে, যেমন পেরেছেন, ভুবনের গান ব্যবহার করেছেন। তবে এখন বিষয়টি বুঝতে শুরু করেছেন। তাই গান চুরি রুখতে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ করবেন তারা।