দেবহাটায় সমাজসেবক আবুলকে অপদস্ত; ক্ষমা চেয়ে এযাত্রায় রেহাই
নিজস্ব প্রতিনিধি,দেবহাটা:
এলজিইডি’র যুগ্ম সচিবের বাবা ও দেবহাটার বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আবুল হোসেন (৬৫) কে অপদস্তের ঘটনায় অবশেষে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে এযাত্রায় রেহাই পেয়েছে সেই অপদস্তকারী। মঙ্গলবার রাতে হেনস্তার শিকার আবুল হোসেনের বাড়িতে এক শালিসের মাধ্যমে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে এযাত্রায় রেহাই পান অপদস্তকারী খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাবুর আলী মিস্ত্রির ছোট ছেলে তরিকুল ইসলাম ওরফে ছোটখোকা। তার সাথে সমাজসেবক আবুল হোসেনের বিরোধ চলমান ছিল।
শালিসে উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার খেজুরবাড়িয়া পাতনার বিলে আনুমানিক ৩০ বিঘার একটি মৎস্য ঘের করে আসছিলেন সমাজসেবক ও এলজিইডি’র বর্তমান যুগ্ম সচিবের বাবা আলহাজ্ব আবুল হোসেন। তার পাশেই একটি মাছের ঘের রয়েছে একই গ্রামের মৃত নুরুল হুদার ছেলে রুহুল আমিনের। রোববার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় নিজের মাছের ঘেরের ঘরটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন আবুল হোসেন। রাত ১টার দিকে পাশ্ববর্তী রুহুল আমিনের ঘেরে মাছ চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করে স্থানীয়রা। সেসময় নিজের মাছের ঘেরের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন আবুল হোসেন। একপর্যায়ে সেখানে পৌঁছায় তরিকুল ইসলাম ছোটখোকা।
দীর্ঘদিনের রাগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সেসময় সে আকর্ষিক ঘুমন্ত আবুল হোসেনের ঘরে গিয়ে তাকে মাছ চুরির ঘটনায় জড়িতের মিথ্য অপবাদ দিয়ে অপমান এবং অপদস্ত করেন। পাশাপাশি সেই অপদস্তের ভিডিও ধারণ করে তা স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। এনিয়ে এলাকা জুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হলে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম ছোটখোকাকে নিয়ে সমাজসেবক আবুল হোসেনের বাড়িতে শালিসে বসেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। শেষমেষ শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপমান ও অপদস্তের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আবুল হোসেনের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে এযাত্রায় রেহাই পায় সে।