শ্যামনগরে টিউবওয়েলের পানিতে আগুন দিলে দাউ দাউ করে জ্বলছে
শ্যামনগর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা গাবুরার পার্শ্বেমারীতে টিউবওয়েল থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উদ্গীরণ হচ্ছে। এতে আগুন দিলে দাউ দাউ করে জ্বলছে। সেটা দেখতে আবার ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, শ্যামনগরের বদ্বীপ খ্যাত গাবুরা ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় সমস্যা সুপেয় পানি। এ অঞ্চলের মানুষের পানি সমস্যা নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি এগিয়ে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় আমেরিকা প্রবাসী রবিউল ইসলাম রবি’র অর্থায়নে পার্শ্বেমারী গ্রামের বায়তুন নুর জামে মসজিদের সামনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু পানি উঠলেও পানির সাথে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালালে জ্বলতে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত টিউবওয়েল চেপে পানি তুলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আগুন জ্বলছে। বিকেল অবধি জ্বলতে থাকলে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সদস্য’রা সেখানে গিয়ে আগুন নিভিয়ে টিউবয়েলের মুখটি বন্ধ করে দেন। একই সাথে লাল পতাকা উত্তোলন করে দেন সেখানে।
কালিগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার বেল্লাল হোসেন মৃধা জানান, টিউবয়েলে গ্যাসের চাপ ছিল অনেক। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিকেলে সেখানে লাল পতাকা টানানোর পাশাপাশি দুই সপ্তাহের আগে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ছাড়া কাউকে ওই টিউবয়েলের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে।
বেল্লাল হোসেন জানান, গ্যাস উদগীরণের চাপ থাকায় টিউবয়েলের আশপাশ থেকেও গ্যাস উদগীরণের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং সেখানে দিয়াশলই বা আগুন জ্বালালে বিপদের সম্ভাবনা থাকার কারণে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পার্শ্বেমারী গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, ‘ধারণা করছি মাটির নিচে গ্যাসের মজুত রয়েছে। সরকার যদি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে তবে এ জনপদের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথ সুগম হবে।