শ্যামনগরে মিথ্যা ধর্ষন মামলা থেকে পিতার অব্যাহতি চেয়ে পুত্রের সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্বামী পরিত্যাক্ত নি:সন্তান
নারীকে মারপিটের মামলা থেকে বাঁচতে মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলায় পিতাকে
জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পুত্র। মঙ্গলবার
সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ
সম্মেলন করেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুস সালাম তরফদারের পুত্র হাবিবুর
রহমান। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার পিতা আব্দুস সালাম মুন্সিগঞ্জ
ইউনিয়নের নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর পদপ্রার্থী হিসেবে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একই এলাকায় মৃত ইমান আলী গাজীর কন্যা মোছা:
হাসিনা বেগম(৫৬) স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে ১৬২ নং খতিয়ানে ১৫৬৩ নং দাগে
০.৩৩ একর জমি রেজিষ্ট্রি কোবলা মূলে প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে
আসছিলেন। তার কোন সন্তান বা স্বামী না থাকায় উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে
ভোগদখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে একই এলাকার মৃত কফিল উদ্দীন মিস্ত্রির পুত্র
হামজার আলী। এর জের ধরে বিভিন্ন সময়ে হাসিনা বেগমকে খুন জখমসহ বিভিন্ন
হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিল এবং বিভিন্ন সময়ে মারপিট সহ নির্যাতন
করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ০৭/০১/২০২২ তারিখ রাত সাড়ে ১১টার দিকে হামজার
আলী, হামজার আলীর পুত্র হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমানসহ ৪/৫জন ব্যক্তি
হাসিনাকে বেধড়ক মারপিট করে। সে সময় হাসিনার মুখে কাপড় বেঁধে শ্বাসরোধ করে
হত্যার চেস্টা করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে শ্যামনগর
থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এদিকে উক্ত হাসিনার কোবলাকৃত সম্পত্তি ইজারা
নিয়ে মৎস্যঘের পরিচালনা করেন। ফলে হাসিনার মামলার বিষয়ে আমার পিতা
সহযোগিতা করেছে ভেবে হামজার আলী আমার পিতাকে হয়রানির ষড়যন্ত্র শুরু করে।
একপর্যায়ে একই এলাকার শুকুর আলীর পুত্র প্রতিন্দ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস
সবুরের কু পরামর্শে হামজার আলী নিজের ৪৬ বছর বয়সী স্ত্রী মোছা: রাবেয়া
খাতুনকে দুপুর ২.৩০ মিনিটে তার ঘরে ঢুকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে মর্মে
অভিযোগ তুলে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে। অথচ ঘটনার পূর্বে
আমার পিতাকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা লোকালয় থেকে দুরে একটি মৎস্য ঘেরের মধ্যে
মারপিট করে প্রায় অচেতন অবস্থায় তাদের ঘরের মধ্যে নিয়ে এসে পুলিশকে ফোন
দেয়। এমনকি উক্ত মিথ্যা ঘটনাটি প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সাংবাদিকদেরও
বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে। পরে তাদের চাপে পড়ে পুলিশ আমার পিতাকে আটক
করে কারাগারে প্রেরণ করেন। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ছিল না।
হাসিনা বেগমকে মারপিটের মামলার হাত থেকে বাঁচতে নিজের মাঝ বয়সী স্ত্রীকে
দিয়ে একটি মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলা করে আমার পিতাকে হয়রানি করে যাচ্ছে।
তিনি উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে পিতার অব্যাহতি চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ
সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।