ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ভারতের ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়

তরিকুল ইসলাম লাভলু: কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেওয়ার জন্য ভারতের ইন্দোরের ও ঢাকা উত্তরের সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) এই ওয়েবিনার আয়োজনে সহায়তা করেছে ভারতীয় হাই কমিশন এবং ভারত সরকারের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পরিচালিত বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা সমীক্ষায় (স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ) ইন্দোর শহরকে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছিল৷ মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত এই শহরটি ২০১৭ সাল থেকে টানা ৫ বার এই স্থান জিতেছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এর প্রশংসনীয় পদ্ধতির কারণে, যার মধ্যে রয়েছে বর্জ্য পৃথকীকরণ, ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ, বাসিন্দাদের দ্বারা বাড়িতে কম্পোস্টিং, দিনের বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, কেন্দ্রীয় কম্পোস্টিং সুবিধা ইত্যাদি।

ভারতের পক্ষে ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মিশন পরিচালক ও স্বচ্ছ ভারত মিশনের যুগ্ম সচিব শ্রীমতী রূপা মিশ্র, ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কমিশনার শ্রী সন্দীপ সোনি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ এবং সেন্ট্রাল পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিগণ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত সচিব ও প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে রয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম, পিএসসি, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরীফ-উল ইসলাম এবং ডিএনসিসির অন্যান্য সদস্য।

ওয়েবিনারে ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা তাদের বর্জ্য সংগ্রহের পদ্ধতি, উদ্ভাবনী অনুশীলন এবং দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তাদের দ্বারা গৃহীত প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। ইন্দোরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন শতভাগ ঘরে ঘরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা, মিউনিসিপ্যাল ক্লিনারদের জন্য বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা, জিপিএস-ট্র্যাক করা যায় এমন বর্জ্য সংগ্রহের যানবাহন ইত্যাদির বিশদ বিবরণ দিয়েছে। অন্যদিকে, ডিএনসিসি কর্মকর্তারা তাদের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি বিষয়ে এবং কীভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য পৌর পরিষেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে শ্রীমতী রূপা মিশ্র বলেন যে, পারস্পরিক শিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে এমন একটি বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হতে পেরে ভারত আনন্দিত। তিনি সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজাও দুই নগর সভার মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ধরনের প্রথম ওয়েবিনারকে স্বাগত জানান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)