আশাশুনির খাজরার স্থগিত হওয়া ৯ নং ওয়ার্ডের পুনঃ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
গত ০৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের স্থগিত হওয়া ৯ নং ওয়ার্ডের পুনঃ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন, খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেক মোল্লার পুত্র ও বার বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ০৫ জানুয়ারী বুধবার ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খাজরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আমি ছাড়াও একই এলাকার ইব্রাহিম খলিল টুকু এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গননা শেষে আমি ১১১৮ ভোট পাই অপরদিকে ইব্রাহিম খলিল টুকু ১১০৯ ভোট পান। কিন্তু পুন: গননায় কারচুপি করে আমাকে ও ইব্রাহিম খলিল টুকুকে সমান সমান ভোট (১১১৬) দেখাইয়া ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। যার বিরুদ্ধে আমি ফলাফল পুনরায় নিরপেক্ষভাবে গণণার জন্য উপজেলা রিটানিং অফিসার, জেলা রিটানিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনে দরখাস্ত করি। যার রিসিভ কপি আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু আমি কোন ফলাফল পাই নি। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন গত ০৭ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করে।
তিনি বলেন, আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরানোর জন্য চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম নিজে বাদী হয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে হয়রানি করে। পুনরায় ভোট গ্রহণের ১ সপ্তাহ পূর্ব হতে চেয়ারম্যান ডালিম নিজে তার সারা ইউনিয়নের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় সমাবেশ করে। চেয়ারম্যান ডালিমের সন্ত্রাসী বাহিনী মুজিবর মোল্লা, বাপ্পি, আনিচ, ইমরান, ইনজামাম, মেহেদী, সিরাজুল মোল্লা, জাকির, সিরাজুল সানা, টুকু সরদার, আসাদুল সরদার গং আমার কর্মী ও সমর্থক করিম সরদার, আমার পুত্র ফরহাদকে ভোট গ্রহণের আগের দিন মারপিট করে এবং আমার কর্মী গনেশ মন্ডল, মোর্তাজুল, আব্দুল্লাহ, কালাম মোল্লার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এর ফলে এলাকার লোক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ভোটের আগেরদিন চেয়ারম্যান ডালিমের নেতৃত্বে দুপুরের পর বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের গ্রামে এনে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। আমাকে ও আমার লোকজনদের ভোটের মাঠে পাইলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়া হয়। রাতে সাধারণ ভোটারদের বাড়িতে যেয়ে মোরগে ভোট দিলে জানে মেরে দেব বলে হুমকী দেয়। ভোটেরদিন সকালে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের তাড়াইয়া আনে ও এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা প্রদান করে। এ অবস্থায় আমরা অসহায় বোধ করে নির্বাচন বর্জন করিয়া চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, ভোটের দিন বাইরের সন্ত্রাসী বাহিনী কেন্দ্র দখল করে একেকজন ১০-২০ টি করে ভোট দেয়। যা ব্যালট পেপারের মুড়ি বইয়ের সাথে ভোটারের আঙুলের ছাপ মিল করলে প্রমানিত হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি বিতর্কিত এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল পুনরায় নিরপেক্ষভাবে গণণার জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।