মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে শ্বশুরের আত্মহত্যা, মুখ খুললেন নায়ক রিয়াজ

নিউজ ডেস্কঃ

ফেসবুক লাইভে এসে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে শ্বশুর আবু মহসিন খানের ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।

এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আবু মহসিন খানের নিজ বাসায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। যারা সেই সময় লাইভটি দেখছিলেন তারাই পুলিশকে ৯৯৯ এ খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেন।

এদিকে শ্বশুরের মৃত্যুর খবর শুনে নায়ক রিয়াজ তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের রিয়াজ বলেন, এ মৃত্যুর বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। পুলিশ তদন্ত করে যা পাবে, তার সঙ্গেই তারা একমত পোষণ করবেন।

আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন আবু মহসিন খান। পুলিশ বলেছে, সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি।

সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মহসিন খানের সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ব্যবসায় ধস নেমে যাওয়ায় আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে অনেকের লেনদেন ছিল। কিন্তু তারা টাকা দেয়নি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।

আবু মহসিন খানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, মহসিন খান ২০১৭ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

এদিকে ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, উনার (মহসিন) যারা ফলোয়ার ছিলেন, তারা ঘটনাটি দেখে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে মহসিনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

ওসি বলেন, চেয়ারের মধ্যে মৃতদেহ, আর পাশেই তার বৈধ পিস্তলটি পড়েছিল। পঞ্চম তলার ঐ ফ্ল্যাটে কেউ ছিলেন না। তার স্ত্রী ও সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

কেন আত্মহত্যা করেছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রস্তুতি নিয়েই এ আত্মহত্যা করেছেন তিনি। চিরকুটে সবকিছু লিখে গেছেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, ব্যবসা করতেন এবং লোকসানের ভারে কীভাবে জর্জরিত হয়েছেন, সব কিছুই লিখেছেন।

৫৮ বছর বয়সী আবু মহসিন খান পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর ভবনে নিজের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। আবু মহসিন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। বড় ছেলে তার মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)