আশাশুনির মরিচ্চাপ ব্রীজে ভয়াবহ যানজট
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মীত বেইলি ব্রীজের উপর যানজট নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে ভয়াবহ যানজটে পড়ে সড়কের যানবাহন ও সাধারণ পথচারীরা।
বেইলি ব্রীজটি খুবই সংকীর্ণ হওয়ায় বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ উঠলে অন্য যানবাহন চলাচল এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য প্রতিদিন অসংখ্যবার যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ব্রীজের উপর যানজটের কারণে উভয় পাড়ে অসংখ্য যানবাহনকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী মিনিবাস যেমন চরম ভাবে বিপদে পড়ে থাকে, তেমনি চাকরীজীবি, জরুরী তাড়া থাকা অন্য যানবাহনের আরোহিরা এবং এ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ও রোগিদেরকে পড়ে থাকেন মহা বিপাকে। ব্রীজের দু’মাথায় ট্রাফিক ব্যবস্থা বা স্থানীয় ভাবে ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা থাকার তাগিদ এলাকাবাসীর থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। যদিও বাস মালিক সমিতি তাদের মিনিবাস চলাচলে বিপত্তি কাটিয়ে তুলতে নিজস্ব উদ্যোগে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারপরও মাঝে মধ্যে যানজটের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে যাতয়াতকারী যানবাহনগুলোকে। বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রীজের উপর ওঠে ঢালাই কাজে ব্যবহৃত মিকশার মেশিন বহনকারী ট্রলি। তখন অপরপ্রান্ত থেকে ব্রীজের তিন চতূর্থাংশ চলে যায় অন্য যানবাহন। মুহূর্তের মধ্যে আটকে যায় ব্রীজ। ট্রলিটি কয়েক গজ পিছিয়ে যেতে চাইলেও নানা জটিলতায় ছোট্ট পরিসরের ব্রীজের দু’পাশে ট্রলির উপরে থাকা মিকসার মেশিন ও মালামাল আটকে যেতে থাকে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। দু’পাশে দীর্ঘ লম্বা একাধিক সারির যানবাহন ঠাঁই খাড়িয়ে থাকায় বিষয়টি নিদারুন কষ্টকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। ভয়াবহ যানজটে পড়ে শত শত মানুষ তথা যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির শেষ হতে চাইছিল না।
এরকম যানজটের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।