গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে গুলি করে হত্যা
নিউজ ডেস্ক:
বান্দরবানের লামায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নে অংহ্লা পাড়ায় আথুইমং মার্মার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মংক্যচিং মার্মা। ৩৫ বছর বয়সী মংক্যচিং রাঙামাটি জেলার রাজস্থলীর বাঙ্গালখালী এলাকার বাসিন্দা। অংহ্লা পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
নিহত মংক্যচিং মার্মার শ্যালক অংসিং মার্মা জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন বড় বোনজামাই মংক্যচিং মার্মা। রাত সাড়ে ১২টায় ছয়জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়ি ঘিরে ফেলে। তারা ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোনজামাইকে গুলি করে। সন্ত্রাসীরা তিন রাউন্ড গুলি করে ও কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও রশি ছিল। ঘটনার পর থেকে তার বোন ম্রাবোচিং মার্মা পাগলের মতো হয়ে গেছে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মংক্যচিং মার্মা রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালখালী এলাকায় জেএসএস এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাদের নিজস্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লামা উপজেলা জেএসএস সভাপতি অংহ্লা পাড়ার বাসিন্দা অংগ্য মার্মা বলেন, রাত ২টায় আমি ঘটনাটি জানতে পারি। খামার বাড়িটি আমাদের পাড়া থেকে ৫০০ গজ পূর্ব দিকে। মংক্যচিং মার্মা আমার ভাগ্নি জামাই। আঞ্চলিক রাজনীতির দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সীতারঞ্জন বড়ুয়া বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান ও লামা থানায় জানানো হয়েছে। কি কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে আমরা জানি না।
লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কারা কী কারণে মংক্যচিংকে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।