ছেলের কারণে ‘দ্বন্দ্ব’ লাগলো যশ-নুসরাতের মাঝে

বিনোদন ডেস্ক:

টালিউডের সবচেয়ে চর্চিত জুটি নুসরাত জাহান ও যশ দাশগুপ্ত। তাদের প্রেম, একসঙ্গে বসবাস, সন্তান গ্রহণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। তবে এসবের তোয়াক্কা না করে পরিবারের সঙ্গে মধুর সময় কাটাচ্ছেন এই তারকা জুটি। ছেলে ঈশানকে নিয়েই চলে তাদের দুষ্টু-মিষ্টি ঝগড়া।

কিন্তু সেই সুখের ছন্দপতন ঘটেছে। হঠাৎ দুজনের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। একে-অন্যকে সহ্য করতে পারছেন না। গত মাসে তাদের দু’জনের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

গেল ২৬ নভেম্বর নুসরাত তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। সেখানে লেখা, যে ঘরে শান্তি নেই, তা কারাগারের সমান। আর সেরা কারাগার হলো সেই ঘর, যেটা ভালোবাসা দিয়ে তৈরি, যা কি না কেউ ছেড়ে যেতে চায় না!

নুসরাতের এমন ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তার পর গুঞ্জন শুরু হয় টালিপাড়ায়। ইতোমধ্যেই আগুনে ঘি ঢালেন যশ। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখলেন, কেন খাঁচায় বন্দি আছ? খাঁচার দরজা তো খোলাই রয়েছে। যদিও ঘটনার দু’দিন পরই ভালোবাসার বার্তা দিয়ে গুঞ্জন উড়িয়ে দেন নুসরাত।

এবার ফের একই চিত্র ধরা দিল ইনস্টাগ্রামে। ছেলেকে ঘিরে যশ ও নুসরাতের মধ্যে শুরু দ্বন্দ্ব। তাও আবার বড়দিনের মতো উৎসবে!

মা হওয়ার পর নুসরাতের প্রথম বড়দিন। ছোট্ট ঈশানেরও প্রথম বড়দিন। তাই সুন্দর করে ঘর সাজিয়েছেন অভিনেত্রী। ঘরের কোণে বসিয়েছেন ক্রিসমাস ট্রি! ছেলেকে সাজিয়েছেন সান্টার পোশাকে। এরপর ছবি তুলে পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। অবশ্য ছবিতে ঈশানের মুখ দেখা যাচ্ছে না।

ক্যাপশনে নুসরাত লিখেছেন, এটা শুধু একটা বিশেষ ঋতু নয় বরং এটা একটা বিশেষ অনুভূতি। আশা করি, এবারের বড়দিন সবার জীবনে আশা, ভরসা, আনন্দ, সাফল্য, ভালোবাসা নিয়ে আসবে। সবাইকে মেরি ক্রিসমাস।

তবে নুসরাতের এই কাজ মোটেও পছন্দ হয়নি যশের। তিনি চান না, ছেলের ছবি, পরিবারের সুন্দর মুহূর্তগুলো সবার সামনে আসুক। তাই নুসরাতের পোস্ট দেওয়ার পরপরই তিনি একটি স্টোরি দিয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, সামাজিকমাধ্যম আমাদের সবকিছু দেখানো আর বলায় অভ্যস্ত করে তুলেছে। তবে গোপনীয়তারও একটা সৌন্দর্য আছে। সবকিছু দেখানোর জন্য নয়। কিছু জিনিস নিজের মধ্যে রাখাই ঠিক।

যশের এই পোস্টে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া সন্তান হওয়ার পর নুসরাতও বলেছিলেন, ছেলের বাবা চাইলে তবেই তার ছবি প্রকাশ্যে আনবেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই তিনি ছেলেকেসহ ছবি পোস্ট করেছেন। সে কারণেই হয়তো ক্ষোভ ঝেড়েছেন যশ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)