পাওনাদারকে খুন, জখম ও বাড়িতে মাদক রেখে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় ভূয়া কবিরাজ কর্তৃক পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো পাওনাদারকে খুন, জখম ও বাড়িতে মাদক রেখে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির করার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের আব্দুল করিম সরদারের ছেলে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইট, পাথর ও খোয়া সরবরাহকারী হিসেবে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। সম্প্রতি সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর আমার বেয়াই আব্দুল মাজেদের পুত্র কবিরাজ শেখ মোক্তার হোসেন আমার কাজগুলো দেখাশুনার প্রস্তাব দিলে আমি সম্মত হই। আমার অসুস্থ্যতার সুযোগে মোক্তার হোসেন রামপালের ঠিকাদারদের কাছ থেকে আমার পাওনা ১১লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে ও নগদ ক্যাশ নিয়ে আসলেও আমাকে তিনি দেননি। পরবর্তীতে ঠিকাদাররা আমাকে জানান পুরো টাকা মোক্তার হোসেনকে দিয়েছেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আমাকে ৪লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এনিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ দায়ের করলে ইউপি চেয়ারম্যানের সামনে হাজির হয়ে ভূয়া কবিরাজ মোক্তারের কাছে ৫লক্ষ ৫২ হাজার পাওনা থাকলেও ৪ লক্ষ টাকার কথা স্বাকীর করেন এবং দ্রুত ৪লক্ষ টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন। যেহেতু মোক্তার আমার সম্পর্কে বেয়াই সে কারণে আমি ৪লক্ষ টাকার প্রস্তাব গ্রহণ করি। কিন্তু এরপরও ৪লক্ষ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ০৪/১২/২০২১ তারিখে পুনরায় টাকা পরিশোধের অনুরোধ করলেও তিনি টাকা না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে গত ১৮/১২/২১ তারিখে বিনেরপোতাস্থ ইউনুসের চায়ের দোকানের সামনে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তির উপস্থিতিতে তার কাছে টাকা চাইলে মোক্তার মোটরসাইকেল থেকে নেমে বলেন বাইক থাকলো আমি বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসি বলে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তিনি ফিরে না আসায় গাড়িটি আমি আমার হেফাজতে বাড়িতে নিয়ে রাখি। এরপর আমার বেয়াই মোক্তার আদালতে আমার বিরুদ্ধে এবং আমার ছোট ভাই কবিরুলকে জড়িয়ে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন এবং তার মাদকাসক্ত ভাই শাহিনুজ্জামান আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলছেন, আমার অফিসে বা বাড়িতে মাদকদ্রব্য রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করবেন। ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। শাহিনুজ্জামান ইতিপূর্বে একাধিবার ডিবি পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মোক্তার হোসেন সম্পর্কে আমার বেয়াই হওয়ায় সরল বিশ্বাসে এতগুলো টাকা তার হাতে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বিশ্বাস ঘাতকতা করে আমার টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। অথচ মোক্তার হোসেন অত্র এলাকায় কবিরাজির নামে বিভিন্ন এলাকায় অসহায় মানুষকে নি:শ্ব করে চলেছেন। ভূয়া কবিরাজের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে পত্র-পত্রিকায় একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া আমাকে হয়রানি করতে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। সেখানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ভূয়া কবিরাজ মোক্তার হোসেনের কবল থেকে তার পাওনা টাকা উদ্ধার পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।