শার্শার খেয়াঘাট ব্রীজটি এখন তিন খন্ডে দৃশ্যমান
মো. সাগর হোসেন,বেনাপোলঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ টু গোড়পাড়া সড়কের গাতিপাড়া খেয়াঘাট এলাকার দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ব্রীজটি শিঘ্রয় নতুন করে তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কতৃপক্ষ। ব্রীজটি পুনরায় তৈরি হলে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজিমনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, নাভারণ টু গোড়পাড়া সড়কের গাতিপাড়া খেয়াঘাট এলাকার ব্রীজটি ভাঙ্গাচোরা ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। মাঝখান থেকে খোয়া বালু রড খসেপড়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে দীর্ঘদিন ধরে দূর্ভোগ পোহায়ে আসছেন এ সড়কটি ব্যবহারকারীরা।
ভাঙ্গাচোরা ব্রীজটি নিয়ে এর আগে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলেও জনগনের আশা নিরাশার আঁধারে হাবুডুবু খাচ্ছিলো।
প্রতিনিয়ত ব্যস্ততম এসড়কের গাতিপাড়া খেয়াঘাট এলাকার ব্রীজের উপরে যানবাহন ও চলাচলকারী সাধারণ মানুষ আসলেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছিলেন।
অবশেষে বিগত ৫ থেকে ৬ মাস আগে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রিজটির এক অংশ ঢালাই করে আংশিক যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন।
সরেজমিনে ব্রিজটির বর্তমান অবস্থাতে দেখা যায়, ব্রীজটি এখন তিন খন্ডে দৃশ্যমান হয়েছে। একাংশে কাঠ দিয়ে পাটাতন করা আছে আর অন্য অংশে নির্বাহী মহোদয়ের করা ঢালাই এবং মাঝখানের অংশ মৃত্যু দূত হিসাবে হাতছানি দিচ্ছে।
যেকোন অংশ দিয়ে চলাচল করতে গেলে সব সময় ভয়ে ভয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সকলের। একটু অসচেতন হলেই ঘটবে দূর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে অনেকাংশে।
স্থানীয়রা জানান, আগের থেকে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এখনো অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছি সকলেই। দ্রুত হবে শুনতে শুনতে এবারও বছরের অর্ধেকটা পার হয়ে গেলো।
শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী এম এম মামুন হাসান জানান, একটু দেরিতে হলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নির্দেশনা পাওয়া গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রীজটি পূর্ণনির্মান করা হবে। এলাকাবাসী ও এই সড়কে চলাচলকারী সকলকে সচেতনতার সহিত ব্রীজটি পার হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।