কাদাকাটিতে সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুলের নির্বাচনী ইস্তেহার
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মফিজুল হক নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে কাদাকাটি হাজীরহাটে নির্বাচনী অফিসে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ইশতেহার ঘোষণাকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী মফিজুল হক বলেন, আমি ২০১১ সালে ৫ বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলাম। শুরতেই বন্যায় ইউনিয়ন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। তার মধ্যেও সকল সড়কের কাজ করেছি। ১০০% সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সবুজ বনায়ন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা সৃষ্টিতে পারিবারি পাশ বই প্রচলন, হতদরিদ্রদের সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা, মসজিদ মন্দির কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়ন প্রকলোপ ৪৬ পরিবারকে পুনর্বাসন, ইউনিয়নের সীমানা চিহ্নিত করন, ১৩/১৪ সালের সহিংসতামুক্ত ইউনিয়নে পরিণত করা, মানুষের বিপদ-মনোমালিন্য-দুর্ঘটনা আপোষ মিমাংসা করা (কাউকে থানায় যেতে দেয়নি), হতদরিদ্রদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজের ব্যবস্থা করা, বাজারে চাননী সেড নির্মান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্যাপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, পিএসএফ ব্যবস্থা করেছিলাম। দালালমুক্ত ইউনিয়ন গড়েছিলাম। জেলার শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ইউনিয়ন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ওয়ার্ড আ’লীগ গঠন, সংগঠনকে কার্যকর রেখেছিলাম। কিন্তু বিগত ৬ বছরে ওয়ার্ড/ইউনিয়ন আ’লীগের কোন তৎপরতা ছিলনা। আ’লীগের অফিস দেখা যায়না। যে সুযোগ সরকার দিয়েছে তা তা বাস্তবে কাজে লাগানো হয়নি, সড়কগুলো চরম দুর্দশা, মানুষের মুখে মুখে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। আমি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে শতভাগ চেষ্টা করবো। এসময় ইমাম হাফেজ আঃ মালেক, প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বাহার, মেম্বার আবু হাসান বাবু, ইয়াকুব আলি বেগ, মেম্বার প্রার্থী আঃ সুকহান, সাহেব আলি, মহিলা মেম্বার শাশ্বতি রানী, প্রার্থী আলোমতি, মাষ্টার শংকর কুমার, রনজিৎ সরকার, তুষারকান্তি, মাষ্টার কার্ত্তিক চন্দ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় শেষে তিনি পশ্চিম খেজয়ারডাঙ্গা ও তেতুলিয়া বাজারে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন।