সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ
স্পোর্টস ডেস্ক :
এই মুহূর্তে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নাম জানে না, এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কিন্তু, একটা বছর আগের কথাই ধরুন কে চিনতো তাকে। খোদ আর্জেন্টিনার কোচের খাতাতেও যে ছিলেন না তিনি।
সবশেষ কোপা আমেরিকাতেও আর্জেন্টিনার বিকল্প গোলরক্ষক হয়ে খেলতে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর সবটাই ইতিহাস। বলা হয়ে থাকে, ২৮ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের কোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এই মার্টিনেজেরই। এরই মধ্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা গোলরক্ষকের কাতারে।
এদিকে, নিজের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার হয়েও দারুণ সময় কাটছে মেসির এই সতীর্থের। যদিও এর আগে আর্সেনালে নিজের ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কাটালেও প্রতিদানে তেমন কিছুই পাননি।
এদিকে, অ্যাস্টন ভিলার চলতি বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন মার্টিনেজ। ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো বলছে, প্রায় ৬৩ শতাংশ দর্শকের ভোটে এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। আর এ পুরস্কারের দৌড়ে পেছনে ফেলেছেন ডগলাস লুইজ, এজরি কোনসাকে।
চলতি মৌসুম যোগ দিয়েছেন অ্যাস্টন ভিলায়। করছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, ভালোবাসও পাচ্ছেন দলটির সমর্থকদের কাছ থেকে। এবার তো অ্যাস্টন ভিলার চলতি বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেলেন। প্রথম মৌসুমে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লিনশিট রেখেছিলেন মার্টিনেজ। এরপর দেশের হয়ে জিতেছেন কোপা আমেরিকাও। ইতোমধ্যেই নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা গোলরক্ষকদের কাতারে।
এদিকে, এমন স্বীকৃতি পাওয়ার পরপরই সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক। এক বার্তায় তিনি বলেন, আরও বেশ কয়েক বছর অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলতে চান।
আরও বলেন, ‘ভিলায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রচুর ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি প্রতিদিন পারফর্ম করে এর প্রতিদান দিতে চাই।’
যদিও তার শুরুর পথ চলাটা এরকম মসৃণ ছিল না। ১৭ বছর বয়সে ২০১২ তে যোগ দেন আর্সেনালে। কিন্তু টিনএজ এই ছোকড়াকে নিয়ে কোনো আশার আলো দেখেনি গানার কর্তারা। তাই তো দলের সঙ্গে না রেখে ধারে পাঠিয়ে দেন এক এক সময় একেক ক্লাবে। ধারে ধারে খেলেছেন ইপিএল এবং লা লিগার বিভিন্ন ক্লাবে। যা শাপে বর হয় তার জন্য। নানা জায়গার জল খেয়ে, গড়ে তোলেন নিজেকে। একটু একটু করে তৈরি করেন আন্তর্জাতিক অ্যারেনার জন্য।
২০২০ সালে অবশেষে টনক নড়ে আর্সেনালের। তারা বুঝতে পারেন অপাত্রে বড় হচ্ছে তাদের সোনার হরিণ। নিয়ে আসা হয় ক্লাবে, খেলেন মূল দলে। একের পর এক ক্লিন শিট উপহার দেন দলকে। কিন্তু মৌসুম শেষে, আশচর্যজনকভাবে তাকে বিক্রি করে দিল গানাররা। দু হাত বাড়িয়ে তাকে আলিঙ্গন করল অ্যাস্টন ভিলা।
শুরু হয় মার্টিনেজের সত্যিকারের পথচলা। পুরো মৌসুমে তার পারফরম্যান্সের দ্যুতি অবাক করেছে ফুটবল বোদ্ধাদের। ফ্যান্তাসি লিগের সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট কামানো গোলরক্ষক এখন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শুধু কী তাই, ক্লিন শিট আর সেইভে ইপিএল সেরাদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন।