`সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে সবার ঐক্যমত প্রয়োজন’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু বলেছেন, সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে সবার ঐক্যমত্য প্রয়োজন। বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছি। ৪৯ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে আরো অনেক আছে।
এই ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে একটি গোষ্ঠীর জনসংখ্যা মাত্র ২৪০ জন। আমরা তাদেরকেও স্বীকৃতি দিয়েছি। তাদের প্রতিটি সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এবং তুলে ধরতে আমরা যথাযথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এর পাশাপাশি সবার ঐক্যমত্যের প্রয়োজন রয়েছে।
শনিবার দুপুরে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
যারা এদেশের ধর্মীয় অসন্তোষ তৈরি করার চেষ্টা করেছে সরকার তাদের শক্ত হাতে দমন করার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা ধর্মের সমন্বিত মতামত নিয়েই রাষ্ট্র গঠিত। কে কোন ধর্মের তা মুখ্য বিষয় নয়।
যে বাংলাদেশের নাগরিক সেই বাঙালি। বাংলাদেশ এটাই বড় জিনিস। এই দেশ স্বাধীন করার জন্য সকল ধর্মের মানুষ রক্ত দিয়েছে। রক্ত কিন্তু একটাই লাল রক্ত। দেশ স্বাধীন করার সময় কেউ ভাবেনি কে কোন ধর্মের। অকাতরে জীবন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ।
নতুন ফসল ঘরের তোলার পর গারো সম্প্রদায়ের মানুষ ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতি বছর ওয়ানগালা (নবান্ন) উৎসব পালন করেন। তবে কালের বিবর্তনে এই উৎসব অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে।
নিজদের সংস্কৃতি ভুলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ঝুঁকছেন বিদেশী সংস্কৃতির দিকে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই সংস্কৃতি নতুন করে তুলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচার একাডেমি মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
এরই ধারায় ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুসং দুর্গাপুরের দুই দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে গারো সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ওয়ানগালা। বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীতে আয়োজিত এই উৎসবে গারো সম্প্রদায় ছাড়াও যোগ দিয়েছেন অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী।
এদিকে উৎসবকে ঘিরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীর অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমানসহ আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীর পরিচালক সুজন হাজং।