ওমিক্রন প্রতিরোধে বেনাপোলে বাড়তি সতর্কতা
নিউজ ডেস্ক:
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ। বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জেলা সিভিল সার্জনের জরুরি বৈঠকে এ সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
এখন থেকে ভারত থেকে ফিরলে সঙ্গে আরটিপিসিআর থেকে পরীক্ষা করা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ সনদ আনতে হবে। যাদের করোনার ডাবল ডোজ গ্রহণ নেই তাদের ভারত থেকে ফিরলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।
এছাড়া কারো শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও করা হবে। করোনা আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ১২ বছরের নিচে সব শিশুর এ নিয়ম বাধ্যতামূলক থাকছে না। সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে। আক্রান্তের শিকার হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বড় ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও যাত্রী যাতায়াত। এতে বাংলাদেশ আক্রান্তের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। তবে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
নির্দেশনা পেয়ে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ ও বন্দরে নেয়া হয়েছে সব ধরনের সুরক্ষা। ভারতীয় ট্রাক চালকেরা বন্দরে প্রবেশকালে ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও চালকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। এছাড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে বন্দরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও চালকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, ভারত থেকে ফিরতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে। করোনার ডাবল ডোজ গ্রহণ না থাকলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। কারো শরীরের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে আইসোশনে রাখা হবে। তবে ১২ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে এসব শর্ত শিথিল রয়েছে।