৩২ কেজি হরিণের মাংস গেলো কোথায়? বনবিভাগ নিয়ে নানা গুনঞ্জন
আশিকুজ্জামান লিমনঃ
৩২ কেজি হরিণের মাংস গেলো কোথায়?
হরিণের মাংস আটক নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুনজন। আটককৃত মাংসের দুই ভাগ উধাও বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযানের সময় দায়িত্বে থাকা সুলতান আহম্মেদ বলেন, আটককৃত মাংস আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ কেজি হবে। অপার দিকে ১৩ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে বলে জানান সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান। হরিণের মাংস উদ্ধার হওয়া দুই বন কর্মকর্তার বক্তব্যে মিল না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার। গাবুরার চৌদ্দোরশি ব্রিজ সংলগ্ন বায়োজিদের মৎস্য আড়তের সমনে থেকে গতকাল শনিবার দুপুর ১২ সময় বনবিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই ককসিটের মধ্যে থাকা হরিণের মাংস উদ্ধার করে। উদ্ধার করা ২ ককসিটের মধ্যে একটির গায়ে মোবাইল নং সহ আবু হাসান, মিল বাজার সাতক্ষীরা নামের ঠিকানা লেখা ছিল বলে জানান বনবিভাগের এক কর্মকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শী ও বন বিভাগের দেয়া বিবৃতির মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায়, গনমাধ্যমকর্মীরা রবিবার ঘটনাস্থলে যেয়ে স্থানীয়দের মতামত জানার চেষ্টা করেন। স্থানীয় কয়েকজন জানান দুইটা বড় ককসিটে ভরা ছিল হরিণের মাংস যার আনুমানিক ওজন ৪০ থেকে ৪৫ কেজি হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী বন বিভাগের সহযোগী বোর্ড মাঝি সবুজ জানান, দুইটা বড় ককশীটে অনুমানিক ৪০ কেজির মতো হরিণের মাংস ছিল।ককসিটের উপরে ২ ইঞ্চি পরিমাণ বরফ ছিলো বাকীটা হরিণের মাংস ছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মীর জানান, বনবিভাগের অভিযানে ২টি ককসিটে আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ কেজি মাংস উদ্ধার হয়েছে। অপর একজন ইউপি সদস্য মোস্তফা জানান, আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না, তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি বনবিভাগ হরিণের মাংসসহ দুটি ককসিট জব্দ করে। জব্দকৃত হরিণের মাংস ৪০ থেকে ৪৫ কেজি হবে বলে আমাকে জানান। স্থানীয় সোলায়মান জানান, উদ্ধার অভিযানের সময় আমরা বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছিলাম সেখান থেকে আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান বলেন, ২টা ককসিটের ভিতরে ১৩ কেজির মত হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সামনে হরিণের মাংস গুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। তবে একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে যে, হরিণের মাংস আটকের পর রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান ঢাকাতে গিয়েছেন ৷ এই নিয়ে সন্ধিহান জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে ৷
Please follow and like us: