শ্যামনগরের একাধিক মামলার আসামী রুহুল কুদ্দুস কর্তৃক এলাকার অসহায় মানুষকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
আসাদুজ্জামানঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীতে শিক্ষক নামধারী ত্রাস
সৃষ্টিকারী একাধিক মামলার আসামী রুহুল কুদ্দুস কর্তৃক এলাকার অসহায় মানুষকে
তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা
গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন
উপজেলার কৈখালী গ্রামের আব্দুল মুজিদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কন্যা ও জাহাঙ্গীর নগর
বিশ^বিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ। কৈখালী
ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের মৃত এন্তাজ গাজীর পুত্র কৈখালী ইউনিয়নের ১৩২
নং সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তুচ্ছ
ঘটনায় এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষকে মারপিট, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি
করাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। সম্প্রতি স্থানীয় দলাদলিকে প্রাধান্য দিয়ে
মোজাম গাজী ও ওহেদুজ্জামান গাজীকে সাথে নিয়ে আমার চাচী রায়েবা বেগমকে
বেধড়ক মারপিট করে হাতের হাড় ভেঙে দেন। এছাড়া আমার চাচাতো ভাই হাফিজুর
রহমানকে তুচ্ছ ঘটনায় পিটিয়ে জখম করেন। এ মামলায় পুলিশ রুহুল কুদ্দুসকে
গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে
আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শিক্ষক নামের সন্ত্রাসী রহুল কুদ্দুস। তিনি এলাকার
ঘৃনিত, চিহ্নিত ত্রাস সৃষ্টিকারী ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী। তিনি বলেন, উক্ত সন্ত্রাসী
রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মানবপাচার, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলা
রয়েছে। যার মামলা নং (১)- পি ৯৬/১৫ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর
৭/৮ ধারা। (২) শ্যামনগর থানার মামলা নং- ৩৫, তাং- ২২/১০/২১, (৩) নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৪)(খ)/৩০ যার মামলা নং পি-
৩৬২/১৭। (৪) মামলা নং- ০৩, তাং- ০১/১০/২১ ইং, শ্যামনগর থানা, (৫) সি আর ৫৬৯/২১
(শ্যাম:), (৬) পিটিশন মামলা নং- ২১৫/১৫ (শ্যাম:)। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকার বহু
অসহায় নিরীহ মানুষের সাথে মামলা চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রুহুল কুদ্দুস শিক্ষক হয়েও এলাকার সকল ধরনের সন্ত্রাসী
কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার সাথে বিরোধ হলে প্রতিপক্ষ পরিবারের নারীদের ধর্ষনের
হুমকিও প্রদান করে থাকেন শিক্ষক নামধারী এই সন্ত্রাসী। বর্তমানে ওই শিক্ষক
নামধারী রুহুল কুদ্দুসের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মুখে আমার পরিবারের সদস্য, আমার
আতœীয়স্বজন ও স্থাণীয় এলাকাবাসী খুবই অসহায় ভাবে জীবনযাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় অবিলম্বে শিক্ষক নামধারী উক্ত সন্ত্রাসী রুহুল
কুদ্দুসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাকে চাকুরিচ্যুত পূর্বক এলাকায়
শান্তি ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।