সাতক্ষীরার বৈকারী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও তার পরিবারসহ কর্মীসমর্থকদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের আওয়ামী
লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান অছলে ও তার পরিবারসহ
কর্মীসমর্থকরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে জীবনের
নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বয়ং নৌকার প্রার্থী
আসাদুজ্জামান অছলে।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে জামায়াত সমর্থিত
প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
এবারও আমি ২০২১ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতি নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা
করছি। তিনি বলেন, গত ২৭ অক্টোবর বিকাল ৫ টায় আমার নির্বাচনী এলাকায়
গণসংযোগ করার জন্য দলীয় লোকজনসহ আমার বড় পুত্র ইনজামুল হক ও ছোট পুত্র
জহির রায়হান কাথন্ডা কয়াপাড়া এলাকায় মিলিত হয়। এসময় হঠাৎ করেই আমার
প্রতিদ্বন্দি মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী মোস্তফা কামাল এবং জালাল
উদ্দীন ও শফিকুল ইসলাম মিলনসহ ৭০/৮০জন চিহ্নিত মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী
একত্রিত হয়ে তারা পাশবর্তী ঘোনা ইউনিয়নের দিক থেকে এসে আমার দুই
পুত্র ও কর্মী-সমর্থকদের উপর লাঠি, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, চাপাতি, লোহার
রড়, হকিষ্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। উক্ত হামলায় আমার বড়পুত্র
ইনজামুলের পা ভেঙে যায় এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া
আমার ছোট পুত্র জহির রায়হানকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় কোপ মারে ও
শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আমার কর্মী ইয়াছিন আলী কালু,
লালমোহন সরকার, হাসিবুল হাসান সেলিমসহ ৮/১০ জন আহত হয়। আহতদের
দুটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায়
পরদিন ২৮ অক্টোবর আমি বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার
মামলা নং-৮০। অথচ এ ঘটনার ৫ দিন পর আমার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মোস্তফা
কামালের ভাই আফতাবুজ্জামান বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল আদালতে আমি ও
আমার পুত্রদ্বসহ আমার ৩০ কর্মী সমর্থকের নামে পাল্টা একটি মিথ্যা
সাজানো মামলা দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন, আমার মামলার ১ নম্বর আসামী
মোস্তফা কামালের পিতা আবু দাউদ একজন চোরাচালানী গডফাদার ছিল।
তিনি ৫ কেজি রুপাসহ বিজিবির হাতে একবার গ্রেপ্তার হন এবং দীঘদিন
কারাগারে ছিলেন। এছাড়া তার নামে বাগেরহাটে একটি নারী কেলেংকারী
মামলা চলমান রয়েছে। তিনি এলাকার একাধিক ব্যক্তির সম্পত্তি জাল দলিল করে তা
নিজ নামে লিখে নিয়েছেন। এছাড়া জনসাধারনের টাকায় ক্রয়কৃত বৈকারী
বাজারের হাসপাতালের জমিও তিনি আতœসাৎ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে
বলেন, মোস্তফা কামালের কর্মী কাথন্ডা গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে ধজু
ডাকাত আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্নআহবায়ক আমিনুর
রহমানকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করেছেন। তিনি
আরো অভিযোগ করেন, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ব্যহত
করার জন্য ও মানবতা বিরোধী অপরাধে জেলে থাকা খালেক মন্ডলকে বাঁচানোর জন্য
স্বর্ণ চোরাকারবারী হারুন অর রশিদ জামায়াতের কাছ থেকে ব্যাপক অর্থ নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় নানা রকম সহিংসতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য
বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সেবনকারীদের হাতে টাকা
তুলে দিয়ে রাতের আধারে আমার নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি
ধামকি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। যে কোন সময় তাদের দ্বারা আমার ও আমার
পরিবারসহ আমার নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে
আশংকা করছি। এ জন্য আমি ও আমার পরিবারসহ আমার নেতা-কর্মীরা চরম
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার ও তার
পরিবারসহ তার কর্মীসমর্থকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ
মুনছুর আহমেদ।