আলোকিত সমাজের জন্য শুদ্ধাচার চর্চা চালিয়ে যেতে হবেঃ সাতক্ষীরায় ‘সুজন’ এর নাগরিক সংলাপে বক্তারা
আসাদুজ্জামানঃ
সততা ও ন্যায়নিষ্ঠতার ভিত্তিতে সমাজে সুশাসন
প্রতিষ্ঠার জন্য শুদ্ধাচার চর্চা করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং সামাজিক অনিয়ম ও বিশৃংখলা দূর করে একটি আলোকিত সমাজ গঠন করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করে শুদ্ধাচার চর্চায় আরও মনোযোগী
হতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে এই আহবান জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, শিশুদের জন্ম থেকেই শুদ্ধাচার সম্পর্কে ধারনা দিতে হবে। তাদের
বেড়ে ওঠার সাথে সাথে সামাজিক পরিমন্ডলে শুদ্ধাচারের প্রয়োগ করতে হবে। নিজ পরিবার থেকে শুরু করে স্কুলকলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে পেশাগত জীবনে পৌছে সততা, নিয়মানুবর্তিতা, ন্যায়নিষ্ঠতা এবং মানবিকতার পরিচয় দিতে হবে।
যেকোন ধরনের দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জেলা ‘সুজন’ এর সহসভাপতি অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাসের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন
কবির বলেন, দূর্নীতি সবসময় দ্বিপাক্ষিক। একপক্ষ আরেক পক্ষকে প্রলুব্ধ করে উল্লেখ
করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবারই সচেতনতা দরকার। তিনি বলেন, দূর্নীতি সর্বত্র
ছড়িয়ে রয়েছে এবং শুদ্ধাচার বিরোধী কাজকর্মও করছে অনেকে। এ অবস্থা থেকে
বেরিয়ে আসতে হলে আরও বেশী সচেতনভাবে জনমুখী সামাজিক আন্দোলন তৈরী
করতে হবে।
নাগরিক সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন ‘সুজন’ এর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী
মাসুদুর রহমান রঞ্জু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী,
অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, মঞ্জুর হোসেন, অধ্যাপক হেদায়েতুল ইসলাম, এ্যাড.
শাহনাজ পারভিন মিলি, এ্যাড. শেলিনা আক্তার শেলী, স্বদেশ পরিচালক মাধব দত্ত,
এ্যাড. এবিএম সেলিম, সাকিবুর রহমান সাকিব, আব্দুল ওহাব, অধ্যাপক মাহমুদা
খাতুন প্রমুখ।