টানা জয়ে ফুরফুররা পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার পর এবার আফগানিস্তানকেও হারাল পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাবর আজমের অর্ধশতক ও আসিফ আলীর শেষদিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৫ উইকেটে জয়লাভ করে তারা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে পাকিস্তান। তবে ওপেনার রিজওয়ানকে ফিরিয়ে পাক শিবিরে প্রথম আঘাত হাতে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। নাবিন উল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক বাবর আজম। ৫০ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা।
১২তম ওভারে ফখর জামানকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। ২৫ বলে ৩০ রান করে সাঝঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারলেন না মোহাম্মদ হাফিজ। রশিদ খানের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন তিনি। এরই সাথে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মালিক বনে যান আফগান স্পিনার রশিদ খান।
ব্যাট হাতে একাই পাকিস্তানকে এগিয়ে নেয়া বাবর আজম ৪৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। কিছুক্ষণ পরেই দুর্দান্ত এক গুগলিতে পাক অধিনায়ককে বোল্ড করেন রশিদ খান। ৪ চারে ৪৭ বল খরচায় ৫১ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই নাবিন উল হকের বলে শাহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন শোয়েব মালিক।
শেষদিকে ব্যাট করতে নেমেই ম্যাজিক দেখান আসিফ আলী। গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়ক সেই ব্যাটারই করিম জানাতের ওভারে ৪ ছয় মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। মাত্র ৭ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে বিশ্বকাপের হট ফেবারিট পাকিস্তানকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের প্রথমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও শেষদিকে মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে আফগানরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগান ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের বলে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ফেরার পর তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে আসগর আফগানকে ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরান হ্যারিস রউফ। সমান রান নিয়ে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে উইকেট হারান রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
গুরবাজের বিদায়ের পর থিতু হয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন করিম জানাত ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। কিন্তু দশম ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ তুলে উইকেট হারান করিম জানাত। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হলেন নাজিবউল্লাহও। শাদাব খানের বলে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। ১ ছয় ও ৩ চারে ২১ বল খরচায় ২২ রান করেন তিনি।
এরপর ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে ব্যাট করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান গুলবাদিন নাইব। মাত্র ৩৬ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এ দুই ব্যাটার দলকে এনে দেন ১৪৭ রানের মাঝারি সংগ্রহ। ১ ছয় ও ৪ চারে ২৫ বল খরচায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন নাইব। তাকে সঙ্গ দেয়া নবী ৫ চারে ৩২ বল খরচায় সমান রান সংগ্রহ করে অপরাজিত থাকেন।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: আসিফ আলী