তীরে এসে ডুবলো বাংলাদেশের আশার তরী

স্পোর্টস ডেস্কঃ

পুরো ম্যাচ জুড়েই জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আরো একবার তীরে এসে ডুবলো তরী। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় হার মেনেছে টাইগাররা।

আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান সংগ্রহ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে মাত্র ৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ১৩৯ রান।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নাইম শেখের সঙ্গে নামেন সাকিব আল হাসান। তবে সাকিব বা নাইম কেউই পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ৯ রান করেন সাকিব।

পরের ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হন নাইম। ১৯ বলে ১৭ রান করেন তিনি। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর ৩১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও লিটন। চলতি আসরে প্রথমবার দলে ফেরা সৌম্য ফেরেন ৭ রানে। মুশফিকুর রহিম ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। দুজনের ব্যাটে বেশ ভালোভাবেই জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ৭ বলে ১৩ প্রয়োজন, এমন সময়ে ৪৪ রানে আউট হন লিটন দাস।

শেষ ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। কিন্তু এই বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে হার মানতে হয় টাইগারদের। টাইগার কাপ্তান অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে।

এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে টাইগাররা। নুরুল হাসান সোহানের জায়গায় এই ম্যাচে দলে ঢুকেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া নাসুম আহমেদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভারে পথ হারায় উইন্ডিজ। মুস্তাফিজুর রহমানের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন লুইস। অনেকটা পথ দৌড়ে এসে তা তালুবন্দী করেন মুশফিক। লুইস ফেরেন ৬ রানে।

ক্রিস গেইল অফ ফর্ম থেকে বেরোতে পারেননি। তাকে ৬ রানে বোল্ড করার পর আরেক বিপদজনক ব্যাটার শিমরন হেটমেয়ারকেও ফেরান মাহেদী হাসান। এই অফস্পিনারের বলে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে হেটমেয়ার করেন ৯ রান।

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ধরে খেলার চেষ্টা করেন কাইরন পোলার্ড ও রস্টন চেজ। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় ১৬ বলে ৮ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন পোলার্ড। তার জায়গায় নেমে কোনো বল না খেলেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন আন্দ্রে রাসেল।

ক্যারিবীয়রা যখন রান করতে নাভিশ্বাস তুলছে তখন তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসেন নিকোলাস পুরান। এই ব্যাটারের ২২ বলে ৪০ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন ৩৯ রান করা চেজ। দুজনকেই আউট করেন শরিফুল ইসলাম।

একদম শেষ ওভারে ডোয়াইন ব্রাভো ফিরলে আবারো নামেন পোলার্ড। বাকি থাকা পাঁচ বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি ও জেসন হোল্ডার। শেষ পর্যন্ত দুজন অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ রানে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মাহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)