আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পারুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে ছাত্রদল ক্যাডার কর্তৃক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এক নেতাকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক জনার্কীন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন সাতক্ষীরা দেবহাটার নাজিরের ঘের এলাকার মৃত ছফেদ আলীর ছেলে মো: আব্দুল বারী সানা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ২নং পারুলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৫ অক্টোবর‘২১ দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মোস্তফার পুত্র একাধিক মামলার আসামী চিহ্নিত ছাত্রদল ক্যাডার রাজিব আহম্মেদ এবং নাজিরের ঘের গ্রামের মৃত ছফেদ সানার পুত্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সানা পারুলিয়া টু বদরতলা সড়কের চার রাস্তার মুখে আমার গতি রোধ করে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বেধড়ক মারপিট করে পাকা রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেন এবং মামলা দায়ের পরামর্শ প্রদান করেন। ওই দুই ব্যক্তি ইতোপূর্বেও এলাকার একাধিক নিরিহ মানুষকে তুচ্ছ ঘটনায় মারপিট ও হয়রানি করেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ছাত্রদল ও বিএনপির ক্যাডারদের সমন্বয়ে মারপিট খুন জখমসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। গত ২০১৯ সালের ১৭মার্চ রাজিব এবং রফিকুল সানা আমাকে ব্যাপক মারপিট করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- ৩০/১৯।
তিনি আরো বলেন ছাত্রদল ক্যাডার রাজিব ২০১৩ সালে এলাকায় ব্যাপক নাশকতা, অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমে জড়িত ছিলো। সে সময় তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশের এস আই ইউনুস আলী গাজী বাদী হয়ে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুরের অভিযোগে মামলা করেন। যার নং- ১৫৯/১৩। আমি একজন আওয়ামীলীগের কর্মী আর বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। অথচ সে সময়ও বিএনপি ক্যাডারদের দ্বারা বারবার নির্যাতিত নিগৃহিত এবং মারপিটের শিকার হচ্ছি। বিভিন্ন মাধ্যমে এখনো আমাকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি বর্তমানে বাজারে উঠতি পারছিনা। জীবনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। চাঁদার দাবিতে আওয়ামীলীগ কর্মীকে মারপিটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু
হস্তক্ষেপ কামনা করেন।