প্রতিদিন মুড়ি খেলে হাড় শক্ত হয়, মেলে আরো উপকারিতা
চিকিৎসা ডেস্ক :
অবসর সময়ে মুড়ি খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। বিশেষ করে বিকেলে বন্ধুদের আড্ডায় মুড়ি বেশ মানিয়ে যায়। কেউ কেউ আবার হালকা খিদে মেটাতে মুড়ি খেয়ে থাকেন। চা, দুধ, চানাচুরের সঙ্গেও মুড়ি বেশ ভালো মানিয়ে যায়। অনেকে তো মাংসের ঝোলের সঙ্গেও মুড়ি মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন! বলা চলে, ভাতের পরে যদি কোনো খাবার সব বাঙালি বাড়িতে খাওয়া হয়, সেটি হলো মুড়ি।
কেবল খাওয়ার জন্যই যে মুড়ি খাবেন তা কিন্তু নয়, এর রয়েছে বহু উপকারিতা। মুড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ভালো। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকে মুড়ি খাওয়া কমিয়ে দেন বা বন্ধ করে দেন। সত্যিটা বললে, মুড়ির গুণ কিন্তু কম নয়! আপনি যদি প্রতিদিন মুড়ি খান তবে ক্ষতির বদলে লাভই কিন্তু বেশি। জেনে নিন মুড়ি খেলে কী কী উপকারিতা মিলবে-
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
মুড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। আপনার যদি অল্প অল্প ক্ষুধা পায় তবে মুড়ি খেয়েই পেট ভরানো সম্ভব। এতে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হওয়ার ভয় থাকে না। ফলে কমে ওজন বৃদ্ধির বয়সও। তাই যারা হালকা নাস্তা হিসেবে মুড়ি খান, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। কারণ রক্তচাপ বেড়ে গেলে নানা শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। আপনি যদি প্রতিদিন মুড়ি খান তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। কারণ এতে সোডিয়ামের মাত্রা থাকে কম। তাই মুড়ি খাওয়ার পর তা পেট ভরিয়ে রাখলেও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
হাড় শক্ত করে
আমাদের সুস্থ থাকার জন্য হাড় ভালো রাখা জরুরি। কারণ হাড়ে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। আর এই হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এই দুই উপাদান যথেষ্ট পাওয়া যাবে মুড়িতে। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে আর হাড়ের সমস্যায় ভুগতে হবে না। এটি হাড় শক্ত করতে সাহায্য করবে।
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়
বর্তমানে অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, ভাজাপোড়া, বাইরের খাবার এসব অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। আপনি যদি নিয়মিত মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে কমবে অ্যাসিডিটির সমস্যা। কারণ মুড়ি খেলে তা পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা যদি বেশি বেড়ে যায় তবে পানিতে মুড়ি ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে সমস্যা কমবে দ্রুতই।