রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
আবারো শেষে এসে স্বপ্নভঙ্গ। রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কাঁদল কোটি বাঙ্গালী। প্রথমে আনিসুর রহমান জিকোকে লাল কার্ড দেওয়া, এরপর শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে গোল হজম করে ড্র। আর এতেই শেষ হলো বাংলাদেশের সাফ যাত্রা।
নেপালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি জিতলেই ফাইনালে উঠতো লাল-সবুজরা। কিন্তু ড্র করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় নিয়েছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
মালদ্বীপের রাজধানী মালের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ম্যাচটি শুরু হয়। শুরুর দিকে কিছুটা অগোছালো খেলতে থাকে বাংলাদেশ। তবে খেলার ধারার বিপরীতে নবম মিনিটে গোল করেন সুমন রেজা।
ডি বক্সের বাঁ দিক থেকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে চলে আসে সুমন রেজার সামনে। খালি জায়গায় থাকা ফরোয়ার্ড সুমন নিখুঁত হেডারে জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ভুল করেননি।
তবে তিনি আরেকটি খুব সহজ সুযোগ মিস না করলে ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারতো বেঙ্গল টাইগাররা। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য বল নেপালের খেলোয়াড়দের পায়েই অধিকাংশ সময় (৬৫ শতাংশ) ছিল। তবে রক্ষণভাগের সাফল্যে গোল হজম করেনি বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু আক্রমণ করে বাংলাদেশ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পায়নি। অন্যদিকে নেপালের প্রতিটি শটই রুখে দিচ্ছিলেন আনিসুর রহমান জিকো।
বলা যায় নেপালের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জিকো। তাই যেন ৭৯ মিনিটে হ্যান্ডবলের কারণে তাকে লাল কার্ড দিয়ে বের করে দেন রেফারি।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আসে ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। পরিষ্কার কোনো কারণ ছাড়াই নেপালকে পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। ভিডিও রিপ্লেতে ফাউলের কোনো প্রমাণই মেলেনি। স্পট কিক থেকে গোল করে নেপালকে আনন্দে ভাসান অঞ্জন বিস্তা।
ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।