১২শ কোটি খরচ করেও পিক ফেলা ঠেকাতে পারেনি ভারতীয় রেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্ষমতায় আসার পরই ভারতে ধুমধাম করে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও সেই কর্মসূচি কতটা সফল, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। তবে, দেশের রেল কামরাগুলো যে মোটেই স্বচ্ছ নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল এবার। আর সেই অপরিষ্কার রেলের কামরার কারণ পান বা গুটখার দাগ!
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইসের খবরে জানা গেছে, ট্রেনের ভেতর বা স্টেশনে পান বা গুটখার পিক ফেলা বন্ধ করার কম চেষ্টা করেনি ভারত কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে এর পেছনে গ্যালন গ্যালন পানি আর ১২শ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। আর সেজন্য এক বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পান বা গুটখার পিক ফেলা ঠেকাতে এবার পিক ফেলার জন্য‘ইজিস্পিট’ নামে ছোট ছোট প্যাকেট বা পিকদানি বিতরণ করার কথা ভাবছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় রেল সূত্রের খবরে জানা গেছে, ইজিস্পিট নামে পরিবেশবান্ধব ছোটো আকারের এই পিকদানি খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। বারবার সেটিকে ব্যবহারও করা যাবে। ১৫ থেকে ২০ বার ওই পিকদানিটিকে ব্যবহার করা যাবে। রেলের ৪২টি স্টেশনে এই পিকদানি পাওয়া যাবে। মাত্র ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় দামে ছোটো আকারের এই পিকদানি পাওয়া যাবে। এখনো পর্যন্ত পশ্চিম, উত্তর ও মধ্য রেল জোনে এই নতুন ধরনের পিকদানির ব্যবহার শুরু হয়েছে।
রেল কর্তাদের আশা, নতুন এই পিকদানি ব্যবহার করার ফলে ট্রেনের ভিতর বা রেল স্টেশন চত্বরে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে। রেলের এই তিনটি জোনে নতুন ধরনের এই পিকদানি বিতরণের জন্য কিয়স্ক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, নতুন ধরনের পিকদানি ব্যবহাক করে মাটিতে ফেলে দিলে তা গাছ উৎপাদনে আরও সহায়তা করবে। ফলে এগুলিকে যেকোনও জায়গায় ফেলে দিলে কোনো অসুবিধা নেই।
ইতিমধ্যে রেলের তরফে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে স্বচ্ছতা অভিযান চালাতে কম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের তরফে এই প্রকল্পে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে রেল স্টেশন পরিষ্কার করতে গ্যালন গ্যালন জল ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টেশন চত্বরে পিক ফেললেই ৫০০ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও পান বা গুটখার পিক ফেলা রোখা যায়নি। রেলের এই উদ্যোগ যেহেতু পরিবেশবান্ধব, তাই এই পরিষেবায় সাধারণ মানুষেরাও উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।