রাতে ভাবির ঘরে দেবর, শিকলে বেঁধে নেয়া হলো ইউনিয়ন পরিষদে
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ভাবির ঘর থেকে দেবরকে হাতেনাতে ধরেন প্রতিবেশীরা। তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর এ অভিযোগে দেবর-ভাবিকে শিকলে বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। শিকলে বেঁধেই তাদের স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় পাঠানো হয়। এ ঘটনার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
১৮ বছর বয়সী দেবরের নাম শাকিল। তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। এ বিষয়ে থানায় জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ।
জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাচাতো ভাই ভিংরাজ মিয়ার স্ত্রীর ঘরে শাকিলকে পেয়ে হাতেনাতে ধরেন প্রতিবেশীরা। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়াকে জানালে দেবর-ভাবিকে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। তার নির্দেশ পেয়ে তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সকালে দেবর-ভাবিকে ফের নির্যাতন করা হয়। দুপুরে পুলিশকে না জানিয়ে শিকলে বেঁধে তিন কিলোমিটার সড়ক দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে নেয়া হয়। পরে শাকিলকে বাবা আবুল কালামের জিম্মায় আর গৃহবধূকে চাচা সুলতান মিয়ার জিম্মায় দেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান।
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান জানান, তার অফিসে শিকল বাঁধা অবস্থায় ছেলে-মেয়েকে আনা হয়নি। দুই পক্ষের শুনানি শেষে ছেলেকে বাবার জিম্মায় আর মেয়ের বাবা না থাকায় চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাস্তা দিয়ে নেয়ার সময় শিকলে বাঁধা দেবর-ভাবির ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়- গ্রামের রাস্তায় মেয়েটি মাথায় ঘোমটা দেওয়া আর ছেলে পরনের গেঞ্জি দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করছেন।