মাদকের পক্ষে সমাজে যত উচ্চ মানের লোক হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না- দেবহাটা সার্কেল এস এম জামিল আহমেদ
‘আপনাদেরকে নিশ্চয়তা প্রদান করতে চাই, থানায় অভিযোগ, মামলা বা জিডি করতে থানা পুলিশ কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন করে না। মাদক সংক্রান্ত সরকারের যে জিরো টলারেন্স রয়েছে সেটি অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।’ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে নারী নির্যাতন, যৌতুক, ইভটিজিং বাল্য বিবাহ ও মাদকের বিরুদ্ধে বিট পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেছিলেন এএসপি (দেবহাটা সার্কেল) এস এম জামিল আহমেদ। সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০.৩০ টায় ইউনিয়নের আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক সাতনদী সম্পাদক ও প্রকাশক এবং আজিজ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, দৈনিক প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জী, আশাশুনি থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোঃ ঈমান উদ্দিন, আশাশুনি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এএসপি (দেবহাটা সার্কেল) এস এম জামিল আহমেদ বলেন, ‘১৮ বছরের কম বয়সী সকলেই শিশু। শিশুদের বিরুদ্ধে যে ধরনের অপরাধ হয়, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং এসব অপরাধের জন্য যদি আপনারা অবগত হয়ে থাকেন তাহলে সরাসরি থানাতে চলে যাবেন। থানার থেকে যে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং মামলা করতে জিডি করতে যদি কোন টাকা-পয়সা লেনদেনের শিকার হন তাহলে আমাকে ফোন করবেন। তাৎক্ষণিকভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদকের পক্ষে সমাজে যত উচ্চ মানের লোক হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানা পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। হাবিবুর রহমান আজকে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। আমাদের জানামতে উনি প্রায় ৬৫ হাজার গাছ বিতরণ করবেন। এটি একটি অত্যন্ত মহতী উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন আপনারা জানেন গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। শুধু অক্সিজেন না আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে। একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ ভাগ বনভূমি তৈরি হবে। সরকারিভাবে সাত বা তার একটু কম বেশি রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের বাংলার ভূ-খন্ডের ২৫ পার্সেন্ট বনভূমি তৈরি করাবেন। সরকারের মুজিব শতবর্ষের ১ কোটি গাছ লাগানোর অংশ হিসেবে হয়তোবা এই গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাই। এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে ছোট্ট সোনামণিদের মাঝে বিতরণের মাধ্যমে। আমি বিশ্বাস করি এর ফলে ছোট্ট সোনামণিদের গাছের প্রতি একটা ভালবাসা তৈরি হবে। ’
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, ‘সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমান সব সময় তার নিজের এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন। নিজের এলাকার প্রতি তার ভালবাসার প্রতিফলন আজকের এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি। তিনি সব সময় নিজের এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন। আমরা সব সময় তার পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আজকের যে তিনি বৃক্ষরোপনের মত একটি মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।’
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পী বলেন, ‘বৃক্ষ রোপণ একটি মহতি উদ্যোগ। ইতি মধ্যে তিনি প্রায় ৬৪হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষ কুল্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাঝে বিতরণ করেছেন। যা সরকারের মুজিব শতবর্ষের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে থাকবে। এ ধরণে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষতে তার যে কোন কর্মকান্ডে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব তার পাশে থাকবে। ’
আশাশুনি থানা ওসি (তদন্ত) বিশ্বজীৎ অধিকারী বলেন, ‘গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। ফলজ গাছ থেকে আমরা বিভিন্ন ধরণের ফল পাই এবং গাছ আমাদেরকে অর্র্থনৈতিক ভাবে সাহাজ্য করে। বৃক্ষ রোপনের মত একটি মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিবকে আশাশুনি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।’
অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙ্গুরের স ালনায় আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লেবু ও পেয়ারার চারা বিতরণ করা হয়।