ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে অসহায় বাবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রতন শেখকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর বাঘে ধরেছে প্রচার দেয়া হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে এবং হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের কুপিয়ে জখম ও মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের মৃত কেয়াম উদ্দীনের ছেলে ও নিহত রতন শেখের বাবা কফিল উদ্দীন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, শ্যামনগর উপজেলার সাহেবখালী এলাকার জাহান আলী কয়ালের পুত্র মামুন কয়াল, রুহুল আমি গাজীর পুত্র আজিজুল গাজী, নওশাদ কয়ালের পুত্র রফিকুল কয়াল, কৈখালী গ্রামের মৃত মতিয়ার গাজীর পুত্র সোহরাব গাজী, জয়াখালী গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র আবু মুসা ও মৃত ইউসুফ গাজীর পুত্র রুহুল আমিন গাজী এলাকার চিহিন্ত মাদক ব্যবসায়ী। তারা চোরাইপথে সীমান্ত নদী অতিক্রম করে মাদক, অস্ত্রসহ মালামাল পাচার করেন। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আমার একমাত্র পুত্র রতন শেখ। সে নদীতে মাছ ও কাকড়া ধরে আমাদের সংসার পরিচালনা করে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমার পুত্র রতন শেখকে অবৈধ পথে ভারতে পাঠানোর কথা বললে সে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা আমার পুত্রকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরনের কয়েকদিন পর ওই চক্রের সদস্য আবু মুসা বাড়ি ফিরে এসে আমার পুত্র রতন শেখ বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছে মর্মে প্রচার দিতে থাকেন এবং এ বিষয়ে থানা পুলিশ করলে স্ব পরিবারে হত্যার হুমকিও প্রদর্শন করেন। আমারা আমাদের একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে এ সময় শোকে হতবিহব্বল হয়ে পড়ি। পরে সন্তান হত্যার বিচারের দাবিতে বিজ্ঞ আমলী ৫নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর উল্লেখিত ব্যক্তিরা মামলার স্বাক্ষীদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকেন।
এ বিষয়ে মামলার স্বাক্ষীরা গত ২১ আগষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-১১১১। একপর্যায়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার স্বাক্ষীদের তারা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। আহতদের হাসপাতাল ভর্তি করলে সেখান থেকেও তারা তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এছাড়া এই মামলা তুলে নিতে আসামীরা আমাদেরকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। তিনি এ ভরাক্রান্ত মনে আরো বলেন, আমাদের এই মামলায় কোন আসামী এখনও পর্যন্ত আটক হয়নি। অথচ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনথেকে তিনি এ সময় তার সন্তান হত্যাকারী চোরাকারবারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।