তালায় প্রাথমিক শিক্ষকের পরকীয়া,তদন্ত সম্পন্ন
জহর হাসান সাগর :
পরকীয়ার অভিযোগে তালার ডুমুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের মনছোপ গাজীর পুত্র মফিজুল ইসলাম গাজী জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন গত ০৯-০৯-২০২১ইং তারিখ বৃহস্পতিবার। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
লিখিত অভিযোগপত্র সুত্রে তিনি বলেন,সাহাজাতপুর গ্রামের মৃত আরমান মোড়লের পুত্র ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মোড়ল আমার কন্যা কে প্রাইভেট টিচার হিসেবে পড়ানোর সুবাদে আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। বাড়িতে যাতায়াতের কারণে মফিজুল ইসলামের স্ত্রী রিক্তা খাতুনের সাথে আঃ রাজ্জাক মোড়েল পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং অবৈধ মেলামেশা করতে থাকেন।
তাদের পরকীয়া আরো সহজতর করতে উক্ত শিক্ষক ও মফিজুলের স্ত্রী রিক্তা বেগম পরামর্শ করে মফিজুল ইসলামকে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। মফিজুল গাজী ভারতে থাকাস্থায় তার স্ত্রী রিক্তা বেগম নগদ ৮০হাজার টাকা ও স্বর্ণসহ প্রায় ৩/৪লক্ষ টাকার মালামাল ও মফিজুলের জমিজমার যাবতীয় দলিলাদি নিয়ে রিক্তা বেগম তার পিত্রালয়ে চলে যায়। পিত্রালয় থেকে রিক্তা বেগম বিগত ১৩-০৫-২১ইং তারিখে মফিজুল কে খোলা তালাক নামা পাঠায় তার স্ত্রী।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকে কোন যোগসাজেশ আছে কিনা তাহার সত্যতা নিরুপন করতে জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার সকাল ১০টায় ডুমুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন।
তদন্তের সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন, সাংবাদিক বি এম জুলফিকার রায়হান,ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাকির হোসেন, প্রভাষক এস. আর আওয়াল, মেম্বার মনিরুজ্জামান মনি ও বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশক্রমে আমি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছি।তদন্তের ফলাফল গোপন রাখা হয়েছে প্রতিবেদন না পাঠানো পর্যন্ত।
Please follow and like us: