আশ্বিনের বৃষ্টিতে ডুবলো তালার ৪৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শেখ ইমরান হোসেন :
বাংলা বছরের আশ্বিন মাস চলছে। আশ্বিনের শুরুতেই তীব্র গরমের মধ্যে স্বস্তির
ছোঁয়া এনে দিয়েছে বৃষ্টি। কিন্তু বিপত্তি অন্যখানে, আশ্বিনের এই বৃষ্টিতে
জলমগ্ন হতে শুরু করেছে পুরো তালা উপজেলা। ইতিমধ্যেই ডুবেগেছে ৪৫টির
অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা
লক্ষ করা যায়। স্কুল খোলার আনন্দে শিক্ষার্থীরা নতুন করে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু সেই
আনন্দে এবার ছাঁই দিয়েছে আশ্বিনের বৃষ্টি। উপজেলায় প্রায় ৪৫টির অধিক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আশি^নের
প্রথমের বৃষ্টিতে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ
পানিতে থৈ থৈ করছে।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলার প্রায়
৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজসহ প্রায় ১৫টি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যেসব শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ
রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ১৭৫নং ডুমুরিয়া পূর্বপাড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬০নং দক্ষিণ শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
১৪০ নং দক্ষিণ হরিহরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫২ নং উত্তর শাহাদাতপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারুইহাটি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বারুইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং
ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও
শ্রেণিকক্ষে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও
গোনালী টেকনিক্যাল কলেজসহ প্রায় ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতার
সৃষ্টি হয়েছে।
জলাবদ্ধতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, স্কুলের মাঠে গুলো ডুবে গেছে
পানিতে , শ্রেণিকক্ষে পানি থৈ থৈ করছে। মাঠের কোমর পানি পার হয়ে
শ্রেণিকক্ষে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানান,আশি^নের শুরুর বৃষ্টিতে স্কুলের ভেতরে পানি প্রবেশ
করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসকে
বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুস্তাাফিজুর রহমান ও মাধ্যমিক শিক্ষা
অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, জলাবদ্ধতা স্কুলগুলোর তালিকা প্রণয়ন করে জেলা
শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
হয়েছে সেগুলোর পাঠদান বন্ধ আছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদানসহ স্বাভাবিক
কার্যক্রম অব্যাহত আছে।