আশাশুনির খাজরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত
স্টাফ রিপোর্টার:
আশাশুনির খাজরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে খুলনার জাগিরমহল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত দশটার দিকে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের
পিরোজপুর গ্রামে।
আহতরা হচ্ছেন, পিরোজপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৩২), আমিনুর রহমান (২৮), বাবুল
মালি (২৬) রশিদ মালি (২৮) আব্দুস সাত্তার(৩৫), আব্দুর রউফ(৪৫), সাইদুল ইসলাম(৩২), আলফা
সরদার(২০) সহ উভয় পক্ষের দশ জন।
পিরোজপুর গ্রামের লিয়াকাত মালি, সাইফুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম সহ একাধিক ব্যক্তিরা
জানান, আন্ত: জেলা ডাকাতের সক্রিয় সদস্য ও একাধিক মাললার আসামী ডাকাত কামালের
নেতৃত্বে আব্দুর রব, শহিদুল ইসলাম, মিজানুর ইসলাম, মঞ্জু সরদার ,মনিরুল সরদার, শহিদুল,
আলমগীরসহ ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী স্টাইলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পিরোজপুর বালির মাঠে মহড়া
দিতে থাকে। এসময় একই গ্রামের আবুল মালীর ছেলে আব্দুল রশিদের ফাঁকা পেয়ে মারপিট
করা শুরু করে। তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
স্থানীরা জানান, কামাল পারভেজ ওরফে ডাকাত কামালের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ব্যাংক
ডাকাতি, নারী নির্যাতন সহএকাধিক মামলা করেছে। সে দীর্ঘদিন বাইরে থাকায় এলাকায়
শান্ত পরিবেশ ছিল। সম্প্রতি তিনি অদৃশ্য শক্তির নিয়ে বাড়ি এসে ভাই রবকে দিয়ে ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দেন। ইউনিয়নের গুরুত্ব পূর্ণ জায়গায় ব্যানার পোষ্টার
টানিয়ে ছেন তিনি। নৌকা প্রতীক পাবেন বলে শতভাগ দাবি করে ফেসবুকে ভিড়িও
ছেড়েছেন ও বাড়ির সামনে ও খাজরা খেঁয়াঘাট এলাকায় দুটি বড়বড় নৌকা টানিয়ে
রেখেছে। এ ঘটনায় কামালও তার ভাইরব সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো পাঁচজনকে
আসামি করে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছে পিরোজপুর গ্রামের লিয়াকাত
মালি।
খাজরা ইউনিয়নের বিড অফিসার এস আই মুহিতুর রহমান জানান, আমি নিজে ঘটনার পর
ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।