পাকিস্তানে পালালেন আফগান নারী ফুটবলাররা
স্পোর্টস ডেস্ক:
অবশেষে দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের নারী ফুটবলাররা। তালেবানরা দেশের ক্ষমতা নেয়ার মাসখানেক পর আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নারী ফুটবলাররা।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যথাযথ কাগজপত্র দেখিয়েই তোরখাম সীমান্তের উত্তর-পশ্চিমাংশ দিয়ে দেশ ছেড়েছেন এসব ফুটবলার। তবে পাকিস্তানই তাদের শেষ গন্তব্য নয়। শিগগিরই ইউরোপের কোনো দেশ বা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাবেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ফাওয়াদ লিখেছেন, ‘আফগানিস্তান থেকে তোরখাম সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে আসা আফগান নারী ফুটবল দলকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা সবাই আফগানিস্তানের বৈধ পাসপোর্ট এবং পাকিস্তানের ভিসা নিয়েই এসেছে। পাকিস্তান ফুটবলার ফেডারেশনের নৌমান নাদিম তাদের স্বাগত জানিয়েছেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, মঙ্গলবার আফগান নারী দলের বহরে ৮১ জন গেছেন পাকিস্তানে। আজ (বৃহস্পতিবার) আরও ৩৪ জনের পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, এসব ফুটবলারদের জরুরি মানবিক ভিসা দেয়া হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে তালেবানের শাসনামলে আফগানিস্তানে নারীদের সবধরনের খেলাধুলা বন্ধ ছিলো। এবার পুনরায় দেশের দায়িত্ব নিয়ে নারীদের খেলাধুলার ব্যাপারে একই মনোভাব প্রকাশ করেছে তালেবান। এ কারণেই মূলত দেশ ছাড়তে হয়েছে নারী ফুটবলারদের।
গত মাসেই জুনিয়র দলের খেলোয়াড় এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাবুল বিমাবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার কারণে আটকা পড়ে যান। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে এ খবর জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা এএফপি।
এবার তোরখাম সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়েছেন তারা। পাকিস্তানে প্রবেশ করে লাহোরের গাদ্দাফি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে চলে গেছেন তারা। সেখানেই তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে তাদের স্বাগত জানানো হয়।
মূলত অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৮ দলের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে গেছেন। লন্ডনভিত্তিক শান্তির জন্য ফুটবল এনজিওর শুভেচ্ছাদূত সরদার নাভিদ হায়দার জানিয়েছেন, আফগান ফুটবলাররা বোরখা এবং যথাযথ পর্দায় সীমান্ত পার হয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, তারা শেষমেশ কাতারের রাজধানী দোহায় চলে যাবেন। এ বিষয়ে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা উমর জিয়া বলেন, ‘আপাতত পাকিস্তানে থাকবেন এসব ফুটবলার ও তাদের পরিবার। এক মাস পর তারা অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন।’