শ্যামনগরে বজ্রপাতে নিখোঁজ মরদেহ ৪০ ঘন্টা পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার
শ্যামনগর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে বজ্রপাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ দিগন্তের মরদেহ ৪০ ঘন্টা পর আজ ১২ সেপ্টেম্বর রোববার ভোর বেলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,তারা ভোরে উঠে নদীর রাস্তা দিয়ে হাটার সময় বড়কুপোট এলাকার মালীবাগ ক্লাবের দিকে নদীতে একটা মরদেহ ভাষতে দেখে তারপর দিগন্তের পরিবারকে সংবাদ দিলে গ্রামবাসী গিয়ে দিগন্তের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ মুর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নদীতে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ মরদেহ পাওয়া গিয়েছে এবং মরদেহ সৎকারের জন্য তার পরিবারের কাছে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর বজ্রপাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়কুপোট গ্রামের সুনীল বৈদ্যর ছেলে দিগন্ত বৈদ্য (২২)।
কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম ও এলাকা বাসী নিখোঁজ দিগন্ত কে খুজে পেতে ব্যর্থ হয়। শুক্রবারে নওয়াবেঁকী নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল সুনীল বৈদ্য এবং তার দুই ছেলে দিগন্ত বৈদ্য ও সীমান্ত বৈদ্য। এক নৌকায় সুনিল বৈদ্য ও তার ছেলে সীমান্ত বৈদ্য ছিলো এবং অন্য আরেক নৌকায় দীগন্ত বৈদ্য একা ছিলো।
হটাৎ করে বৃষ্টি সহ বজ্রপাত শুরু হলে তারা জাল তুলে পাড়ে আসার চেষ্টা করছিলো কিন্তু হটাৎ তার নৌকায় বজ্রপাত হয় এবং সাথে সাথে সে নদীতে পড়ে যায়। ঘটনাটি নিজ চোখে দেখেছেন তার পিতা ও ভাই। নিজ চোখে এমন ঘটনা দেখে সহ্য করতে পারছেন না তার পিতা ও ভাই। দীগন্ত তার বাবার ট্রলার থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে ছিলো।