পাইকগাছায় আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে
পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় রোপা আমন ধানের চারা রোপন পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। কৃষকরা আমনের আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও আবহাওয়া জনিত কারণে উপকূল এলাকায় কৃষির মৌসুম দেরিতে শুরু হয়।
এ জন্য লবণাক্ত উপকূল এলাকার পানি ও মাটি আমন চাষের তৈরী করতে কিছুটা সময় বেশি লাগে। তাছাড়া মৎস্য লীজ ঘের গুলো কিছুটা নিচু হওয়ায় আমন চাষের উপযোগি করতে আরো বেশি সময় লাগে। সে কারণে উপকূলের এ অঞ্চলে কৃষির আবাদ অন্যান্য এলাকা থেকে ২০ থেকে ১ মাস পরে শুরু হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আমন আবাদের জন্য ৯৭০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে কৃষি অফিস থেকে জানিয়েছে। কৃষকরা জমি তৈরি ও চারা রোপন নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছে। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, অতি বৃস্টিতে এ বছর অনেক বীজতলার ক্ষতি হয়ছে।
নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হয়েছে। তার জন্য অধিক মূল্যে বীজ ধান ক্রয় করতে হয়েছে। তাতে খরচের পরিমান বেড়ে গেছে। বৃস্টির কারণে আউশ ধান কাটতে দেরী হওয়ায় আমনের চাষও দেরিতে শুরু হয়েছে। গোপালপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল বলেন, এলাকায় চাহিদার তুলনায় ধানের চারা কম থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অধিক মূল্য দিয়ে ধানের চারা ক্রয় করতে হচ্ছে।
কৃষকরা আরো জানায়, তালা, চুকনগর ও ডুমুরিয়া এলাকা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে আমনের আবাদ করতে কৃষকদের অধিক টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপকূলের পাইকগাছা অঞ্চলের চাষাবাদ কিছুটা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে।
অন্য এলাকার তুলনায় এ এলাকার কৃষি কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়।ভারী বৃস্টিতে কিছু বীজতলার ক্ষতি হয়েছে, আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। কয়েকদিনের মধ্যে আবাদ সম্পন্ন হবে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।