শার্শায় নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
আঃ জলিল(শার্শা যশোর)প্রতিনিধি :
শার্শা উপজেলার উলশী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা দুর্গম জঙ্গল থেকে ইসরাফিল হোসেন(৩৮)নামে মাটি থেকে লাশ উত্তোলন করলো গোয়েন্দা পুলিশ।
তিন বন্ধু একই সঙ্গে সব সময় থাকতেন। ব্যবসা করতেন তিনজন একই সাথে।মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা।
বন্ধুত্বের টানাপোড়েন শুরু হয় নানা কারণে।তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। প্রথমে বন্ধুর পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে লেলিয়ে দেয় অপার বন্ধু ইসরাফিল হোসেনের (৩৮) দিকে। একসময় ইসরাফিল বন্ধুর স্ত্রীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর কৌশলে ইসরাফিলকে একটা নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে দুই বন্ধু মিলে হত্যা করে কাশিয়াডাঙ্গা জঙ্গলে। তারপর তাকে মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
বুধবার(১সেপ্টেম্বর)সকালেএমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে এসেছে। নিখোঁজের পরে তিনজনকে আটক করে গোয়েন্দা সদস্যরা।আটকৃতদের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ ও ডিবি ঘটনাস্থল জঙ্গল থেকে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বদরুল আলম জানান, ইসরাফিল ২৭ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে বাহির হয়। পরের দিন তার আত্মীয়-স্বজনসহ চারিদিকে খোঁজখবর নেয়ার পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে২৯ আগস্ট স্বজনরা শার্শা থানায় একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অনুসন্ধানের জন্য জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের শরণাপন্ন হই।
এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সমন্বয়ে সন্দেহ ভাবে অনুসন্ধান করে হত্যার সাথে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তাকে হত্যা করে উলাশী কাশিয়াডাঙ্গা দুর্গম জঙ্গলে কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রেখেছেন।তাছাড়া বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় আমরা অনুসন্ধানের জন্য যশোর গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের শরণাপন্ন হই।
এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সমন্বয়ে সন্দেহ ভাবে তিনজনকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের ধরতে নাম পরিচয় সামরিক গোপন রাখা হচ্ছে। জঙ্গলের ভিতর কবরস্থান থেকে তার মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে । ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে।