আশাশুনির খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে ধীর গতির অভিযোগ
কৃষ্ণ ব্যানার্জী:
আশাশুনির ৫৮ নম্বর খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মাণে ধীর গতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজটি শুরু হলেও আজও পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের নিচে বালু ভরাট ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং শিক্ষকরা।
৫৮ খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, স্কুলের মূল ভবনটি বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ায় ২০১১ সালের পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর অতিকষ্টে গোলপাতা দিয়ে ঘর নির্মাণ করে কোন রকমে চালানো হয় স্কুলের কার্যক্রম। এরপর সেটিও ভেঙে গেলে শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ১টি সেমি পাকা টিনের ছাউনি যুক্ত তিন রুম বিশিষ্ট শ্রেণী কক্ষ নির্মান করা হয়। স্কুলের নতুন ভবন দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের পর এলজিআরডি দপ্তর থেকে ৭৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকায় ৪তলা ফাউন্ডেশন এর একতলা ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পায় সেকেন্দার এন্টারপ্রাইজ, শ্যামনগর স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেন। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে কাজ শুরু হলেও দীর্ঘ দেড় বছর অতিক্রম হওয়ার পর শুধুমাত্র ভবন নির্মানের জন্য মাটির নিচে বালু দ্বারা ভরাট ছাড়া অন্য কোন দৃশ্যমান কাজ আজও হয়নি। এমনকি বিল্ডিং নির্মানে সরকারি প্রকল্প ব্যয় সম্বলিত সাধারন জনগনের দেখার জন্য কোন সাইনবোর্ড স্থাপন হয়নি। এ দিকে দীর্ঘ দিন বিল্ডিং এর কাজে ব্যবহৃত রড, বালি, অতি অবহেলায় বৃষ্টির পানির মধ্যে পড়ে আছে। রড গুলো মরিচা ধরার অবস্থা। ফলে এই রড দিয়ে কাজ করলে বিল্ডিং টিকবে কিনা তারও সংশয় দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান,মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের টেন্ডারকৃত কাজটি অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রয় করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর আবারও স্কুল খোলার উপক্রম দেখা দিয়েছে, কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের কোথায় পড়বে সে জাগাটির পর্যন্ত স্কুলে নেই। ফলে চিন্তায় রয়েছি আমরা।
বিদ্যোৎসাহী সদস্য সাংবাদিক নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন বিল্ডিং এর কাজটি পড়ে থাকায় বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন ও লাভ হয়নি। দ্রুত বিল্ডিং নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
তবে মের্সাস সেকেন্দার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুকুল হোসেন জানান, কাজটি আমি অন্যের কাছে বিক্রি করিনি। বালু ইতিমধ্যে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই এটি শেষ করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান জানান,ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস সেকেন্দার এন্টারপ্রাইজ কে বার বার তাগাদা দিচ্ছি। তারা বিভিন্ন ভাবে ওয়াদা করার পরও কাজটি শুরু করছে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তারা যদি দ্রুত কাজ শুরু না করে তাদের লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পূনরায় টেন্ডার দেওয়া হবে।