কাবুল বিমানবন্দরে হামলায় নিহত বেড়ে ৯০
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান প্রদেশ শাখার ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তালেবাননিয়ন্ত্রিত জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, নিহতদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সৈন্য রয়েছেন, আছেন তালেবানেরও ২৮ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের আবে ফটকে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ বানিয়ে তারা আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটেছে বিমানবন্দর লাগোয়া ব্যারন ক্যাম্পের ভেতরের জটলা থেকে। যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন, তারাই ব্যারন ক্যাম্পে জড়ো হয়েছিলেন।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের খুঁজে বের করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের কাছে হার মানবে না। আমরা তোমাদের ক্ষমা করবো না। আমরা (এ ঘটনা) ভুলে যাবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবোই এবং তোমাদের এর মূল্য দিতে হবে।
তালেবানের আগ্রাসনের মুখে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে পশ্চিমাসমর্থিত সরকারের পতন ঘটে। তারপর থেকেই কাবুল চালাচ্ছে তালেবান।
যদিও তারা সবার জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছে, তবে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তান ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ কাবুলে বিশেষ প্লেন পাঠিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে এই কার্যক্রমই চলছে এখনো।