মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সিআইডির এএসপিসহ পাঁচজন কারাগারে
প্রযুক্তি ডেস্ক:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে বাসা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় সিআইডির এএসপিসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকালে চিরিরবন্দর আমলি আদালত-৪ প্রথম শ্রেণীর বিচারক শিশির কুমার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর রহমান ও স্থানীয় পলাশ।
অপহরণের শিকার জহুরা বেগম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দাইল গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী ও সন্তান।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরের দশমাইল থেকে অপহৃত মা ও ছেলেকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা পুলিশের কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় তাদের।
জানা গেছে, রংপুর সিআইডির কাছে পলাশ নামের এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর থানার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে লুৎফরের বাড়িতে যান এএসপি সারোয়ার কবিরসহ ৮/১০ জন। প্রথমে বাড়িঘর ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেন। পরে লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। পরে পুলিশের কাছে যান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
মঙ্গলবার বিকেলে তারা সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে সিআইডি কর্মকর্তাদের দেখা করতে চান। তারা প্রথমে রানীরবন্দর যেতে বলে। সেখানে গেলে তাদের টাকা নিয়ে দশমাইল যেতে বলা হয়। এরপর দশমাইল গেলে বাশেরহাট যেতে বলে। পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি মিলে বাশেরহাট থেকে ওই তিনজনকে আটক করে।
রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান বলেন, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক ১০ দিনের ছুটিতে ছিলেন। আমার অনুমতি ছাড়াই ভাড়া গাড়িতে করে তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যান এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ। ঘটনার পর আমরা বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা কেন সেখানে গেলেন, কাকে অপহরণ করলেন- এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।